• ইরানে আটকে দেগঙ্গার ১১, যোগাযোগ নেই ২ দিন ধরে, আতঙ্কে পরিবার
    এই সময় | ১৯ জুন ২০২৫
  • ইরানের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘর্ষ সপ্তাহ পেরোতে চলল। সংঘর্ষ থামেনি। তার বদলে উত্তেজনার পারদ আরও চড়ছে। সেই অশান্তির আঁচ পড়েছে বাংলাতেও। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে পড়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ঢালিপাড়ার তিনটি পরিবারের মোট ১১ জন। পরিবারের দাবি, কোনওভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সঙ্কট দেখা গিয়েছে খাদ্য ও পানীয় জলেরও। বাংলার নাগরিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে কাতর আর্জি জানাচ্ছে পরিবারগুলি।

    উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে ঢালিপাড়া। সেখান থেকে নানা সময়ে ইরানে গিয়েছিলেন তিনটি পরিবারের মোট ১১ জন। সম্প্রতি ৫ জন গিয়েছিলেন ইরানের এক তীর্থস্থানে। সবাই যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে সেখানেই আটকে পড়েছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ঢালিপাড়ার গফুর আলি গায়েন ও তাঁর স্ত্রী সুকরান বিবি, সাহিদ আলি গায়েন ও তাঁর স্ত্রী মুসলিমা বিবি এবং তাঁদের এক আত্মীয় আক্রাম হোসেন ৩০ মে ইরানে পৌঁছন। তার মধ্যেই ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ১৮ জুন তাঁদের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তাঁরা ফিরতে পারেননি। ১৭ জুন পরিবারের সঙ্গে শেষ বার যোগাযোগ হয়েছে তাঁদের, তাও মিনিট খানেকের জন্য। পরিবার জানাচ্ছে, সেই সময়েই ওই পাঁচজন জানিয়েছিলেন জল ও খাবারের সমস্যা হচ্ছে, অনলাইন লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে। লাগাতার বোমার আওয়াজে তাঁরা আতঙ্কিত বলেও জানিয়েছিলেন পরিবারের লোকজনকে।

    আক্রাম হোসেনের স্ত্রী সালমা বিবি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘দুই সন্তানকে রেখে আমার স্বামী বিদেশে গিয়েছেন। কিছু চাই না, শুধু সরকার যেন ওঁকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত এনে দেয়।’ সাহিদ আলির ছেলে হোসেন মেহেদি বলেন, ‘বাবা-মা ও পরিচিত ৩ জন গিয়েছেন। এখন যোগাযোগও করতে পারছি না।’ যুদ্ধবিধস্ত ইরানের কোথায় আটকে প্রিয়জন? উদ্বেগে ঢালিপাড়া।

  • Link to this news (এই সময়)