নতুন করে এসএসসি নিয়োগ মামলার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে। সোমবার রাত ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন । মাত্র এক দিনের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জমা পড়েছে ১০ হাজারেরও বেশি আবেদন। এসএসসি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছে কমিশন। তবে একাংশ এখনও তাঁদের নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। পরীক্ষায় বসবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই তারা চাকরি পেয়েছিলেন। তাই তাঁরা পরীক্ষায় বসতে চান না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে, সবাই যেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর বক্তব্য, নিয়োগ প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হচ্ছে। কেউ চাইলে আবার সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন, কিন্তু পরীক্ষা দিতেই হবে।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে চাকরিহারা ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা সেন্ট্রাল পার্কের কাছে অনশনে বসেছেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় মঙ্গলবার নতুন করে আরও ৬ জন অনশনে যোগ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে একজন দৃষ্টিহীন শিক্ষকও রয়েছেন। এদিকে, শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এসএসসি-কে জানানো হয়েছে, নবম-দশম শ্রেণির জন্য ২৩ হাজারেরও বেশি বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পদ ফাঁকা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে ভৌতবিজ্ঞানে , এরপর অঙ্কে রয়েছে ৩,৯০১টি শূন্যপদ।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশিকাও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। ওবিসি সংরক্ষণের নতুন তালিকা স্থগিত করে দিয়েছে আদালত। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কী প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি এসএসসি।