ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শান্তিনিকেতনে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি ভাঙা পড়েছে। ধুলোয় মিশেছে কত স্মৃতি! বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গ উঠে এল বিধানসভায়। বাদল অধিবেশনে বাড়ি ভাঙা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। জবাবে সরকারের তরফে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি জানান, এমনটা হওয়া উচিত ছিল না। সরকার মনীষীদের স্মৃতি বিজড়িত জায়গাগুলি সংরক্ষণে সজাগ থাকে। তথ্য-সংস্কৃতিদপ্তরও সজাগ থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানার সমস্যা থাকায় কিছু করা যায়নি।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে অলোকেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে এই বাড়িটি তৈরি করেন। অবন ঠাকুর এই বাড়িটিতে এসেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন ‘আবাস’। অবনীন্দ্রনাথের ‘আপনকথা’য় বাড়িটির কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু গত বছর এপ্রিল মাসে বাড়িটির হাতবদল হয়।
শান্তিনিকেতনের তালতোড় মৌজায় অবনপল্লির জমিটি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতি স্বর্গীয় অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী অরুন্ধতী ঠাকুর এবং পুত্র অয়নেন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়িটি বিক্রি করে দেন। বাড়ি ও জমিটি কেনেন ২৪ পরগনার রাজারহাট গোপালপুরের বাসিন্দা প্রীতম নন্দী ও চন্দনকুমার রায়। তারপরই তাঁরা জায়গাটিতে অন্যকিছু করার চেষ্টা করে। বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হতেই অবনীপল্লির বাসিন্দারা প্রবল আপত্তি জানান। পুরসভা বাড়িটি না ভাঙার জন্য নোটিসও জারি করে। তারপরও সেটি ভাঙা পড়ে।
সেই প্রসঙ্গ আজ ওঠে বিধানসভায়। সেখানে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, “সরকার মনিষীদের স্মৃতি বিজড়িত জায়গাগুলি সংরক্ষণে সজাগ থাকে। যা ঘটেছে তা হওয়া উচিত ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে বা দপ্তরের নজরে এলে এমন ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মালিকানার সমস্যা থাকায় কিছু করা যায়নি।”