• বাগডোগরা-গ্যাংটক রুটে ১০ আসনের কপ্টার, পুজোর আগে শুরু হবে পরিষেবা!
    প্রতিদিন | ১৯ জুন ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: একে পর্যটক মহলে তেমন সাড়া মেলেনি! তার উপর আবহাওয়া সামান্য খারাপ হতে আকাশে ডানা মেলতে পারেনি। বড় আকার হওয়ায় পর্যটনকেন্দ্রেও নামতে পারেনি। ওই পরিস্থিতিতে মাত্র এক বছরে লোকসানের বহর বেড়ে হয়েছে ২০ কোটি। অতএব ২৬ আসনের এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার পরিষেবা বাতিল করে পুজোর আগেই বাগডোগরা-সিকিম রুটে ১০ আসনের ছোট কপ্টার চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে সিকিমের পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তর।

    সড়কপথের হ্যাপা কমিয়ে আরও বেশি পর্যটক টানতে গত বছরের ৬ মার্চ সিকিম সরকার বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত ২৩ আসনের এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করে। আশা ছিল কপ্টার পরিষেবার জন্য খুবই কম সময়ে বাগডোগরা থেকে গ্যাংটকে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব দেখে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে। কিন্তু সেটা হয়নি।

    সিকিম পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তরের কর্তারা জানান, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার পরিষেবা চললেও যাতায়াতের পথে ১১-১২ জনের বেশি যাত্রী হয়নি। অনেক সময় মাত্র ৫-৬ জন যাত্রী নিয়ে হেলিকপ্টার চালাতে হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব হবে এই বিশ্বাসও ছিল। কিন্তু বাস্তবে সামান্য মেঘলা আবহাওয়ায় এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার উড়তে পারেনি। পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে পর্যটকরা হতাশ হয়েছে।

    এছাড়াও এমআই-১৭২ হেলিকপ্টারের আকার এতটাই বড় যে সিকিমের ১১টি হেলিপ্যাডের বেশিরভাগ জায়গায় নামতে পারেনি। মাত্র একদুটি হেলিপ্যাডে নেমেছে। বাকি হেলিপ্যাডগুলি খুবই ছোট। তাই পর্যটকদের লাচুং, লাচেনে উড়িয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরফলে যাত্রী কম হয়েছে। লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।

    এমআই-১৭২ হেলিকপ্টারটি সিকিম রাজ্য সরকার এবং সিকিম পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশনের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে লিজে নেওয়া হয়। পরিচালনার দায়িত্বে ছিল স্কাইওয়ান এয়ারওয়েজ। সিকিমের পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সিএস রাও জানান, “একে বড় হেলিকপ্টার। খরচ বেশি। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র বিশেষ করে উত্তর সিকিমে পর্যটকদের নামানো সম্ভব হয়নি। তার উপর যাত্রী সংখ্যা কম। ওই কারণে এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার বাতিল করে বাগডোগরা-সিকিম রুটে ১০ আসনের ছোট হেলিকপ্টার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

    কিন্তু স্কাই ওয়ানের মতো অপারেটররা ছোট হেলিকপ্টার সরবরাহ করে না। ওই কারণে কয়েকটি নতুন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে সিকিম সরকার। সিকিমের পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষায় পর্যটন বন্ধ থাকে। এই সময় নতুন পরিষেবাটি চূড়ান্ত করা হবে। পুজোর আগেই ১০ আসনের হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। তবে এবার নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আগে একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা বলছেন সিকিম রাজ্য সরকারের কর্তারা। পরিষেবা নিয়মিত রাখা, পর্যটকদের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)