সংকটজনক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লিতে
প্রতিদিন | ১৯ জুন ২০২৫
অভিরূপ দাস: গুরুতর অসুস্থ তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল সেপসিসে ভুগছেন। গত ১৪ জুন রাত থেকে নিউ আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি সাংসদ। সেভাবে তাঁর স্বাস্থ্যোন্নতি না হওয়ায় এয়ারলিফট করে দিল্লি এইমসে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপি সাংসদ।
গত ১৪ জুন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হঠাৎ ভীষণ পেটে ব্যথা শুরু হয় তাঁর। বাড়িতে বেশ কয়েকবার বমিও করেছিলেন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকে আইসিউতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। সে কারণে দিল্লির এইমসে চিকিৎসার ভাবনাচিন্তা করা হয়। সে কারণে তাঁকে এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেসব উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, সেসব বিশদে পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি, তিনি জিআই সেপসিস বা গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল সেপসিসে ভুগছেন। কী এই রোগ? বলা হচ্ছে, মূলত গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল অর্থাৎ অন্ত্রে সংক্রমণ থেকে এই রোগ হয়। কোনওভাবে যদি খাদ্যনালীর মধ্যে দিয়ে অন্ত্রে জীবাণু প্রবেশ করে, তাহলে এই রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। রোগীর ডায়রিয়া, বমি শুরু হলে সহজে সুস্থ হতে পারবেন না। সারা অঙ্গে ধীরে ধীরে সক্রিয়তা কমবে। কমে যাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। যে কোনও সংক্রমণই যেহেতু শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না। রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়া, রক্ত জমাট বাঁধাও এর উপসর্গ। নানাভাবে মানুষের শরীরে এ ধরনের সংক্রমণ ঘটতে পারে। মূলত শ্বাসনালী দিয়ে জীবাণু ঢুকে খাদ্যনালীতে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। আবার খাবারের মাধ্যমেও তা শরীরে ঢুকতে পারে। তবে শরীরে জীবাণু ঢুকলেই যে সেপসিস হবে, তেমনটা নয়। এই ধরনের সংক্রমণ শরীরে কোষে ছড়িয়ে পড়লে তবেই তা মারাত্মক হয়ে ওঠে। একে একে নানা অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে।