সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: কালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্যকর চিত্র দেখা গেল ভোটকেন্দ্রগুলিতে। বিশেষ করে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখ ছিলেন একেবারে সরব। ভোটের শুরু থেকে বিভিন্ন বুথ পরিদর্শনে ঘুরে বেড়ান তিনি। দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এবং ভোট প্রক্রিয়া নিরীক্ষা করতেই তাঁর এই বুথে বুথে যাওয়া। ভোট পর্যবেক্ষণের ফাঁকে এক মজার ঘটনার সাক্ষী থাকলেন স্থানীয়রা।
একটি বুথ ক্যাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা জোটের কর্মীদের কাছ থেকে হঠাৎ করেই মুড়ি চেয়ে নেন প্রার্থী নিজেই। কর্মীরা তাঁকে মুড়ি খেতে দিতেই তিনি হাসিমুখে তা গ্রহণ করেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে মুড়ি চা উপভোগ করেন। জোট প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখ বলেন, 'দলমত নির্বিশেষে আমাকে ভোট দিচ্ছে। কালীগঞ্জের মানুষের কাছে আমি আপন তাই যে যা দেবে আমি তা গ্রহণ করব। আমি বিজেপি তৃণমূল এবং আমাদের জোটের বুথ ক্যাম্পে যাচ্ছি সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছি। সেখানেই আমাদের একটি বুথক্যাম্পে আমাকে মুড়ি দিল আমি সেটা খেলাম। যদি বিজেপি বা তৃণমূলের ক্যাম্পে আরও ভালকিছু দেয় আমি সেটাও খাব।'
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আমরা বুথ অফিসে বসে মানুষকে স্লিপ দিচ্ছিলাম, সঙ্গে চলছিল মুড়ি-চা খাওয়া। প্রার্থী মশাই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের দেখে মুড়ি চাইলেন এবং খেয়েও নিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ভোটের কাজ শান্তিপূর্ণভাবে করতে বললেন। এই সাধারণ ভঙ্গিতেই খুশি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের মতে, প্রার্থীর এই মাটির কাছাকাছি থাকা ব্যবহার কর্মীদের আরও উজ্জীবিত করেছে।
উল্লেখ্য, সকাল থেকেই বেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে কালিগঞ্জের উপনির্বাচন। বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে একাধিক বুথে দেখা গেছে সংগঠনের তৎপরতা। কাবিলউদ্দিন শেখের এই ঘুরে ঘুরে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করা এবং তাঁদের উৎসাহ দেওয়া নির্বাচনী প্রচারে একটি ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। জনসংযোগের এই দৃশ্য রাজনীতির রূঢ় বাস্তবতার মাঝেও এক আন্তরিক ও মানবিক দিক তুলে ধরেছে, যা ভোটারদের মনেও প্রভাব ফেলতে পারে।