• 'বিমান ঢুকে পড়ে ছাত্রাবাসে... সেখানেই থাকে ছেলে!' ভয়ংকর দুর্ঘটনার পর কেমন আছে অভ্রজ্যোতি?
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ জুন ২০২৫
  • প্রদ্যুত্‍ দাস: আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা (Air India crash) এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন! ধ্বংস হওয়া ছাত্র আবাসনেই থাকতেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ডাক্তারি পড়ুয়া অভ্রজ্যোতি বিশ্বাস। যদিও সেদিন সকালে হাসপাতালে ডিউটি থাকার জন্যই প্রাণ বেঁচে যায় তাঁর। বিমান দুর্ঘটনার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও ঘটনার রেশ এখনও রয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের চোখে মুখে। অভ্রজ্যোতির বাবা ডাঃ বরুণ বিশ্বাস জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। 

    ডাঃ বরুণ বিশ্বাস বলেন, 'ছেলের যদি হাসপাতালে নাইট ডিউটি থাকত তাহলে হয়তো ভয়ংকর কিছু ঘটতে পারত। তবে ছেলে ফোন করে জানায়, সুরক্ষিত রয়েছে সে। সবই ‌ভগবানের আশীর্বাদ ও আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা। তিনি জানান, প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে আমদাবাদের বিজে মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ছেন ছেলে অভ্রজ্যোতি। বিমান দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রাবাসে থাকা তাদের কয়েকজন ছাত্রকে‌ হাসপাতালের পক্ষ থেকে অন্য একটি জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, মর্নিং ডিউটি থাকায় সেদিন সকালেই হস্টেল থেকে হাসপাতালে চলে গিয়েছিলেন অভ্রজ্যোতি। হস্টেল থেকে প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছে বিজে হাসপাতাল। ঘটনার সময় ওপিডি-তে রোগী দেখছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গেই‌ আহমেদাবাদের হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়িতে ফোন করে মাকে বিষয়টি জানান অভ্রজ্যোতি। তিনি ঠিক আছেন জানিয়ে ফোন রেখে দেন। তা‌ সত্ত্বেও মা‌ মহুয়া বিশ্বাস ও বাবা ডাঃ বরুণ বিশ্বাস চিন্তিত হয়ে পড়েন। টিভির পর্দায় বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দেখে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁরা। সেই ঘটনার রেশ যেন এখনও রয়ে গিয়েছে তাদের মধ্যে।

    প্রসঙ্গত, ভারতের উড়ান ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান বিপর্যয়। বৃহস্পতিবার আমদাবাদের মেঘানিনগরে টেক অফের ২ মিনিটের মধ্যেই ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI 171। একজন ছাড়া বাকি সব যাত্রীর মৃত্যু হয়। বলা হচ্ছে, 11A সিটে বসে থাকার সুবাদেই তিনি আশ্চর্যজনকভাবে এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)