ফের ‘দ্বিচারিতা’! কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের কাজের জন্য গুজরাতের সংস্থাকে বরাত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিধানসভায় এই অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি কমিশনের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, এ ক্ষেত্রে কেন বাংলার সংস্থাগুলিকে বঞ্চিত করা হচ্ছে?
বুধবার বিধানসভায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ দাবি করেন, উপনির্বাচনের একটি কাজের জন্য টেন্ডার ডেকেছিল কমিশন। সেখানে বাংলার অনেক সংস্থাই দরপত্র দাখিল করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বরাত পেয়েছে গুজরাতের একটি সংস্থা। তাঁর অভিযোগ, এভাবেই বাংলার সংস্থাগুলিকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মন্ত্রীর প্রশ্নবাণ, ‘এটা ঠিক নয়! জনসাধারণের টাকা এভাবে ব্যয় করা যায় না। এটা কীভাবে হচ্ছে, তার জবাব দিতে হবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকে। এটা স্বচ্ছতার প্রশ্ন। বাংলার সংস্থাগুলিকে বাদ দিয়ে অন্য রাজ্যের সংস্থাকে সুযোগ দেওয়া নীতিগতভাবে ভুল।’
সেই সঙ্গে ফিরহাদ সাফ জানিয়ে দেন, জনতার করের টাকায় কোনও পক্ষপাতিত্ব চলবে না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কে বা কারা, সেই উত্তর বিধানসভা ও জনতার সামনে আনা উচিত।’
প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জে উপনির্বাচন। দখলে থাকা আসন ধরে রাখতে প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদের উপরই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ধরে রাখতে কালীগঞ্জ আসনটি বামফ্রন্ট ছেড়ে দিয়েছে হাত প্রতীককে। তাই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের অনুমোদন নিয়ে কালীগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন কাবিলউদ্দিন শেখ। আর বিজেপি প্রার্থীর নাম আশিস ঘোষ। ত্রিমুখী লড়াই নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই, এরই মাঝে ফের বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হলেন ফিরহাদ হাকিম।
উল্লেখ্য, বুধবারই একশো দিনের কাজ বন্ধ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রোষের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। এই আবহে এবার বিধানসভায় নির্বাচনী সামগ্রীর টেন্ডার নিয়ে বড়ো অভিযোগ তুলে কেন্দ্র তথা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন ফিরহাদ।