ময়নাগুড়ির পর এবার শিলিগুড়ির একটি এটিএম ভেঙে টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠল। প্রধাননগর থানার চম্পাসারি মোড় সংলগ্ন জ্যোতিনগর এলাকায় এটিএম ভেঙে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটিএমের উল্টো দিকের বাড়িতে থাকা এক ব্যক্তি গোটা ঘটনাটির ভিডিও করেন, যা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গ্যাস কাটার দিয়ে দুটি এটিএমের মেশিন কেটে দুষ্কৃতীরা টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ। ফলে পুড়ে গিয়েছে দুটি এটিএম মেশিনই। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ওই দুটি এটিএম থেকে খোয়া গিয়েছে সাড়ে দশ লক্ষ টাকা। এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত দুটো থেকে তিনটের মধ্যে একটি সাদা গাড়িতে মুখ ঢেকে চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী এটিএমটির সামনে আসে। মুহূর্তের মধ্যে ভিতরে ঢুকে টাকা লুটপাট করে বেরিয়ে আসে দুষ্কৃতীরা। ওই এটিএমের উল্টো দিকে থাকা একটি বাড়ির বাসিন্দা গাড়ির একটি অংশ এবং ঘটনাস্থলের ভিডিও তুলে রাখেন, যা পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে ১০০ নম্বরে ফোন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
দুষ্কৃতীরা এটিএম থেকে বেরিয়ে সেটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় প্রধাননগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এবং দমকল বিভাগের কর্মীরা। দ্রুত আগুন নেভানো হয়। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে এটিএম লুটের বিষয়টি নিশ্চিত করে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রতিটি থানায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ বর্মন ঘটনাস্থলে যান। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বৌলবাড়ি বাজার এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এটিএম থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও অধরা পঞ্চম দুষ্কৃতী। তাঁর কাছেই সিংহভাগ টাকা রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।