১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জালালউদ্দিন পাইক। এই মামলার জীবনতলা থানার পুলিশকে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জুলাই।
সূত্রের খবর, জালালউদ্দিন পাইক ভাঙড়ের জীবনতলার বাসিন্দা। ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। এলাকার কারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাও প্রকাশ্যে বলতেন। এই কারণে তাঁকে খুনের হমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আগেও তিনি এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। তাঁকে নিরাপত্তার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত।
এ দিন আদালতে জালালউদ্দিনের আইনজীবী সেই একই অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাঁর মক্কেলকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরপরই জীবনতলা থানাকে এই ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশ দেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এলাকায় কোনও অশান্তি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। নিরাপত্তা নিয়ে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও মামলাকারীকে প্রাণনাশের হুমকি কী ভাবে দেওয়া হলো, তা নিয়ে জীবনতলা থানার ওসিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, বুধবারই তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা ‘মহাত্মা গান্ধী রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি প্রকল্প’ (১০০ দিনের কাজ) রাজ্যে চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১ অগস্ট থেকে এই প্রকল্প চালু করতে হবে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, এই প্রকল্পে টাকাও দিতে হবে কেন্দ্রকে।
১০০ দিনের কাজ নিয়ে আগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পরে সেই অনিয়ম যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে, তাও জানিয়েছে আদালত। ১০০ দিনের প্রকল্পের পরিষেবা যাতে গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছয়, সেই দিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।