এই সময়, জলপাইগুড়ি: বাইসাইকেল চুরির প্রেক্ষাপটে বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ভিত্তরিও দি সিকা সিনেমা বানিয়েছিলেন। বাংলায় রুপম ইসলাম বেঁধেছিলেন গান। পৃথিবীর ইতিহাসে নানা সময়ে ‘সাধারণ’ বাইসাইকেল চুরির গল্পগুলো অসাধারণ হয়ে উঠেছে।

বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালত চত্ত্বরে তেমনই এক বাইসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেটি অসাধারণ হয়ে উঠবে কি না, তা সময়ই বলবে। ঠিক কী ঘটেছে? এক মাস আগে আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন মাদক কারবারে অভিযুক্ত যুবক সমীর মণ্ডল।

সেই সময়ে আদালত চত্ত্বর থেকে একটি সাইকেল চুরি করে পালিয়েছিলেন তিনি। একমাস পরে ফের হাজিরা দিতে এসে ওই চোরাই সাইকেলই তাঁর জন্যে যে কাল হয়ে উঠবে, তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি ওই যুবক। হাজিরা দিতে এসে ফের পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন তিনি।

অভিযুক্ত সমীরের বাড়ি জলপাইগুড়ির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কিং সাহেব ঘাট এলাকায়। তিনটি মাদক মামলায় জড়িত ওই যুবক বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁকে আদালতে আসতে হয়।

একমাস আগেও সমীর আদালতে এসেছিলেন। ফেরার সময় ল-ক্লার্ক সাগর ব্রহ্মের সাইকেল চুরি করে চম্পট দেন ওই যুবক। এ দিন সাগর বলেন, ‘অনেকেই বিভিন্ন কাজে আমার সাইকেল নিয়ে যান। ওই দিনও এক সহ-কর্মী সাইকেলটি নিয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি ফিরে এসে সাইকেলটি ল-ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের ঘরের সামনে রেখে দেন। কিন্তু পরে দেখি ওখানে সাইকেল নেই! অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও পাইনি।’ শেষমেশ পুরোনো সাইকেলের মায়া ত্যাগ করে নতুন সাইকেল কেনেন তিনি।

ঘটনার একমাস পরে এ দিন অভিযুক্ত যুবক আদালত চত্ত্বরে প্রবেশ করতেই সাগরের সহ-কর্মী হ্যাপি রায় বাসুনিয়ার চোখে যায় সাইকেলের দিকে। তিনিই বিষয়টি তৎক্ষনাৎ সাগরকে গিয়ে জানান।

তারপরেই তাঁরা ছুটে গিয়ে সমীরকে পাকড়াও করেন। কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটির পরে অভিযুক্ত যুবকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও সমীর বারবার দাবি করেছেন, ওটা চুরি করা সাইকেল নয়।

টাকার পরিবর্তে একজন তাঁর কাছে ওই সাইকেল বন্ধক রেখেছে। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি সমীর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোতয়ালী থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞসাবাদ করছে।