নন্দীগ্রামে পরিত্যক্ত জায়গায় বোমা ফেটে আহত এক মহিলা। তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার পশ্চিম ৭ নম্বর জালপাই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বোমা ফেটে নিহারি দাস অধিকারী নামে এক মহিলা গুরুতর জখম হন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহারির বাড়ির পিছনে একটি পরিত্যক্ত স্নানের ঘর রয়েছে। সেখানে কাঠের বোঝা, নানা জিনিস রাখা। সেখানেই এ দিন সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এলাকার লোকজনের দাবি, নিহারি ওই বাড়িতে একাই থাকেন। এ দিন সকালে ওই স্নানের ঘরের পাশে জঙ্গল পরিষ্কার করতে যান। দেখেন একটি সুতলির বল পড়ে আছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তা হাতে তুলতেই বিস্ফোরণ হয়, আহত হন নিহারি। আওয়াজ শুনে নিহারির দাদা ছুটে আসেন। তিনিই উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পরে সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ দিকে এই ঘটনাকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি (নন্দীগ্রাম-৪) শঙ্কু নায়েকের বক্তব্য, ওই মহিলা তৃণমূলের সমর্থক। তাঁর দাবি, একুশের বিধানসভা ভোটের পরে নন্দীগ্রাম থেকে সরে যাচ্ছে বিজেপি। তাই অশান্ত করছে এলাকা। কিছু দিন আগে কালীচরণপুরে সমবায় ভোটে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীকে হুমকি দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ।
পাল্টা তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রলয় পালের দাবি, ‘বিধানসভা ভোট আসছে। তাই তৃণমূল যা করে, তাই করছে। নন্দীগ্রাম যে হেতু বিরোধী দলনেতার জায়গা, কী করে বিজেপিকে ফাঁসানো যায়, তার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। ওরা তো বোমা, বন্দুকের রাজনীতিতেই অভ্যস্ত।’