দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। দিনভর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর জেরে উত্তাল হয়েছে বঙ্গোপসাগর। এই পরিস্থিতিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মৎস্য দপ্তর। মৎস্য দপ্তরের নির্দেশ, আজ, ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ।
ভরা মরসুমে যে মৎস্যজীবীরা ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে গিয়েছেন। তাঁদের অবিলম্বে উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ পেয়ে কাকদ্বীপ, নামখানা ও সংলগ্ন এলাকার অনেক মৎস্যজীবী ঘরে ফিরে আসছেন। গত ১৪ জুন কাকদ্বীপের খেয়াখাট থেকে কয়েক হাজার ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল। গত দুই দিনে প্রায় ২০০ টন ইলিশ মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে। গত চার বছরের মধ্যে মরসুমের শুরুতেই এত ইলিশ জালে পড়ার রেকর্ড নেই। আবহাওয়া অনুকূল ছিল। সেই কারণে আশায় বুক বেঁধেছিলেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু আচমকা আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় তাঁদের পরিকল্পনায় ভেস্তে গিয়েছে।
জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় বিপদ এড়াতে ট্রলারগুলিকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে মৎস্যদপ্তর। সতর্কবার্তা পেয়ে বুধবার সকালে উপকূলে ফিরে এসেছে প্রচুর ট্রলার। সুন্দরবন উপকূলে মাইকিং করছে পুলিশ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। ক্রমে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।