সকাল সকাল ভোট দিলেন কালীগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে আলিফা বলেন, ‘উন্নয়নমুখী কালীগঞ্জ গড়ে তুলতে সবাই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। যোগ্য প্রার্থীকে জয়যুক্ত করুন। বৃষ্টি কমলে ভোটদানের হার আরও বাড়বে।’ এজেন্ট ইস্যুতে বিরোধীদের একহাত নেন আলিফা। বিরোধী বিজেপিকে আলিফার কটাক্ষ, ‘ওরা এজেন্ট বসাতে পারছে না। তার জন্য আমরা কী করতে পারি?’
এদিক সকাল সকাল বড়চাঁদঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৫ নম্বর বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী কাবিলউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া খুবই ভাল। কালীগঞ্জ কৃষিপ্রধান অঞ্চল, তাই বৃষ্টি হওয়া ভাল খবর। নিরাপত্তাও ভাল আছে। ভোট শান্তিপূর্ণ হবে।’ ৮০/১৭৩ নম্বর বুথে ভোট দেন কালীগঞ্জেরে বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ। উপনির্বাচনেও ছাপ্পা এবং ভোট লুটের আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হচ্ছে কালীগঞ্জে। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০১১ ও ২০২১ সালে জয়ী হয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কালীগঞ্জ আসন থেকে ৫৩.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছিলেন ৩০.৯১ শতাংশ ভোট। ফলে ব্যবধানটা ছিল অনেকটাই। প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন।
প্রসঙ্গত, পরিবর্তনের হাওয়ায় সর্বপ্রথম ২০১১ সালে ‘লাল দুর্গ’ কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। ২০১৬ সালে এখানে হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ সালে ফের পুরনো প্রার্থী নাসিরুদ্দিন আহমেদকে লড়াইয়ের ময়দানে এনে জয়ের স্বাদ পায় তৃণমূল। এবার নাসিরুদ্দিনের মৃত্যুতে অসমাপ্ত কাজের ভার তাঁরই মেয়ে আলিফার কাঁধে তুলে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
কালীগঞ্জ কেন্দ্রের পাশাপাশি আজ চার রাজ্যের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হচ্ছে। কালীগঞ্জ ছাড়াও ভোট হচ্ছে গুজরাটের কাদি, বিসাবদর, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম এবং কেরলের নীলাম্বুর কেন্দ্রে।