বাড়ি ভাড়া দিতে হলে থানায় আগাম পর্যাপ্ত তথ্য জমা দিতে হবে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। কিন্তু তার পরেও যে অনেকে সচেতন হচ্ছেন না, বাগুইআটি থানা এলাকায় একটি অবৈধ কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস করতে গিয়ে ফের তা দেখা গেল। এর পরেই আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। ফ্ল্যাটে অবৈধ ভাবে কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে সেটির মালিক এবং এক দালালের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করল বাগুইআটি থানা।
প্রসঙ্গত, সোমবার বাগুইআটি থানা এলাকার একটি বহুতলের ওই ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে পুলিশ দেখে, এক দালালের মাধ্যমে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অবৈধ ভাবে কল সেন্টারটি চালানো হচ্ছে। যার কোনওখবরই ছিল না প্রশাসনের কাছে। অভিযোগ, স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই কল সেন্টার থেকে বিভিন্ন জনকে ফোন করে প্রতারণা করা হচ্ছিল।সেখান থেকে দুই মহিলা-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় একাধিক মোবাইল, দু’টি ল্যাপটপ, ভুক্তভোগীদের একাধিক নথি। পুলিশ জানিয়েছে, কল সেন্টারটিচালানোর বৈধ নথি দেখাতে পারেনি অভিযুক্তরা।
সম্প্রতি বিধাননগর পুলিশের তরফে এক নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছিল, বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় থানায় আগাম পর্যাপ্ত তথ্য দিতে হবে। এই নিয়মের অন্যথা হলে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। উপ-নগরপাল (বিমানবন্দর) ঐশ্বর্যা সাগর জানান, সেই অনুযায়ী এই ফ্ল্যাটের মালিক এবং এক দালালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
তবে বাসিন্দাদের একাংশ এ-ও বলছেন, বাড়ি ভাড়া দেওয়ার তথ্য গোপন করার ক্ষেত্রেআর একটি কারণ হল সম্পত্তিকর ফাঁকি দেওয়া। তাই শুধু পুলিশ-প্রশাসন নয়, স্থানীয় পুরসভারও পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।