তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাই কোর্ট
আনন্দবাজার | ১৯ জুন ২০২৫
বছর দেড়েক নিখোঁজ থাকার পরে পুলিশ উদ্ধার করেছিল এক নাবালিকাকে। নিয়ম মাফিক সরকারি হোমে থাকার পরে বাড়ি ফিরেছিল সে। তার পরেই বাড়ির লোক জানতে পারেন, ওই নাবালিকা প্রায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের অভিযোগ, নিরুদ্দেশ থাকাকালীন যৌন নির্যাতনের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সে। গর্ভপাতের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নাবালিকার পরিবার। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, গর্ভপাতের বিষয়েনদিয়া জেলা হাসপাতালে আবেদন করতে হবে পুলিশকে। নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিক্যালবোর্ড গঠন করবে হাসপাতাল এবং কোনও জটিলতা না থাকলে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে মেডিক্যাল বোর্ড।
এ দিন বিচারপতির আরও নির্দেশ, ভ্রূণ সংরক্ষণ করে তার ডিএনএ নির্ধারণও করতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে নাবালিকার স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিন্তিত আদালত। তাই নাবালিকার দ্রুত গর্ভপাত করার অনুমতি দেওয়া হল।’’ মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ জুন। সে দিন আদালতে গর্ভপাত সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবে রাজ্য।
আদালত সূত্রের খবর, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এক যুবক ওই নাবালিকাকে অপহরণ করেছিল বলে তার পরিবারের অভিযোগ। প্রথমে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সক্রিয় হয়নি। নাবালিকার পরিবার হাই কোর্টে মামলা করলে আদালত সিআইডি-র মানব পাচার শাখাকে নাবালিকাকে উদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছিল। সম্প্রতি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
নাবালিকার পরিবারের আইনজীবী সৌরভ মণ্ডল এবং অরিজিৎ ভুঁইয়ার অভিযোগ, পুলিশকে বলা সত্ত্বেও তারা নাবালিকার বক্তব্য শোনেনি। বরং, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে মেয়েটি আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিল, বিচারকের সামনে এ কথা বলার জন্য নাবালিকাকে চাপ দিয়েছিল পুলিশ। সরকারি হোমে থাকাকালীন নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়নি। রাজ্যের আইনজীবী এ দিন মামলাকারীর বিপক্ষে কোনও যুক্তি দেননি।