স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর থেকে দফায়-দফায় টাকা নেওয়া, ডাক্তারের ফি ও অস্ত্রোপচারের টাকা না-দিলে চিকিৎসা বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের চিকিৎসক-বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের পারিবারিক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। সংবাদপত্রে সেই অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের ‘স্বাস্থ্যসাথী সেল’-এর অফিসারদের সামনে রোগীর থেকে নেওয়া টাকা ‘ফোন পে’ মাধ্যমে ফেরত দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কৃষ্ণগোপাল অধিকারী (৭৩) নামে ওই রোগীর (স্বাস্থ্যসাথী রেজিস্ট্রেশন নম্বর— ২৫০৬০৭১৩৪২২৭১৮৯৩) নাতি অভিজিৎ অধিকারীর অ্যাকাউন্টে এ দিন মোট ১৮৪৫০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। রোগীর চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য আরও যে ১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল, সেটাও দিতে হবে না বলে জানিয়ে দেন স্বাস্থ্য ভবনের অফিসারেরা।
এ দিন অভিজিৎ জানান, টাকা ফেরতের মুহূর্তটি হাসপাতালের কর্তা ও স্বাস্থ্য ভবনের অফিসারদের উপস্থিতিতে ভিডিয়োয় রেকর্ড করা হয়। সেখানে তাঁকে বলানো হয়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় শুরু স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নিখরচায় সুবিধা পেয়ে খুশি।’’ এ দিন সুদীপ্ত রায়কে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি কেটে দেন। ম্যানেজার শুভময় দাসকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কিসের ভিত্তিতে দাবি করেছিলেন যে, রোগী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি হননি? তা হলে এখন রোগীর টাকা ফেরত দেওয়া হল কেন? শুভময়ের জবাব, ‘‘এর ব্যাখ্যা আপনাদের দেব না। যা বলার রোগীর পরিবারকে বলেছি।’’ নার্সিংহোমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুদীপ্ত রায়ের দুই চিকিৎসক কন্যা শিল্পা বসু রায় ও সুবেশা বসু রায় মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, রোগীর চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথীতে হবে না। সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ‘অনৈতিক সাংবাদিকতা’র অভিযোগও করেছিলেন শিল্পা। এ দিন তাঁর ফোন টানা যোগাযোগ সীমার বাইরে ছিল।