বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুকে বাসে উঠতে দেওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ উঠেছে বাস কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে খোদ দুর্গাপুর শহরেই। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নিন্দা করেন মন্ত্রী, মহকুমা শাসক থেকে শুরু করে সকলেই। যদিও ওই শিশুর মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছে বাস মালিক ও মিনিবাস মালিক সংগঠন। এর পরে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুরের পরিবহন দপ্তরের আধিকারিক।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুরের সিটিসেন্টার বাসস্ট্যান্ডে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ওই শিশু পানাগড়ের বাসিন্দা। সে পড়াশোনা করে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোন অঞ্চলে একটি হোমে। শিশুটিকে নিয়েই সিটিসেন্টার বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন তার মা। একটি মিনিবাসে ওঠার সময়ে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ, বাসে ওঠার সময় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেটিকে দেখে বাসের এক কর্মী বাধা দেন। পরে অন্য একটি গাড়িতে করে ছেলেকে হোমে নিয়ে যান মহিলা। এই নিয়ে বাসকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। হোম কর্তৃপক্ষও বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনেন।
সোমবারের এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে শুরু হয় সমালোচনা। ঘটনার নিন্দা জানান মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়-সহ শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষ। এর পরে বুধবার দুপুরে মিনিবাস মালিক ও বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা ওই হোমে গিয়ে বাচ্চাটির মায়ের কাছে ক্ষমা চান।
এই কাজ যে উচিত হয়নি তা মেনে নিয়েছেন দুর্গাপুরের বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক অলোক চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ বাচ্চাটিকে বাসে চাপতে না দিয়ে ভুল করেছেন বাসকর্মী। তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার দিকে আমাদের নজর থাকবে।’
দুর্গাপুরের এআরটিও দেবাশিষ ঘোষ বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়। বাস মালিক ক্ষমা চেয়েছেন মহিলার কাছে। বাস মালিক সংগঠনকে বলে দেওয়া হয়েছে আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'