• ধরে দিতে পারলেই নগদ পুরস্কার, মদ্যপদের দৌরাত্ম্য থেকে বাঁচতে অভিনব ভাবনা চন্দ্রকোণায়
    এই সময় | ১৯ জুন ২০২৫
  • মদ্যপদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট গ্রামের মানুষ। কে বা কারা মদ্যপান করে যেখানে সেখানে বোতল ফেলে রাখছে তা বুঝতে পারছেন না বাসিন্দারা। চেষ্টা করেও তাদের ধরা যায়নি। তবে, স্থানীয়দের দাবি, যারা এই দুষ্কর্ম করছে তারা এলাকার বাইরের লোক। এই মদ্যপদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তাই এ বার নতুন পদক্ষেপ করলেন বাসিন্দারাই। তাঁরা জানিয়ে দিলেন, যারা এই কাজ করছে তাদের ধরিয়ে দিতেই পারলেই দেওয়া হবে ‘ইনাম’। শুধু তাই নয়, যারা সেখানে এসে এই কাজ করছে তাদেরকেও মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে বলে পোস্টার দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মদ্যপদের দৌরাত্ম্য থেকে বাঁচতে অভিনব ভাবনা নিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর চন্দ্রকোনা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর এলাকার বাসিন্দারা।

    কেন এই ভাবনা?

    এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বাইরে থেকে লোকজন এসে সেখানে মদ্যপান করছে। সেই মদের বোতল পড়ে থাকছে খেলার মাঠ থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সর্বত্রই। মাঠে খেলতে গিয়ে কিংবা রাস্তাঘাটে চলার সময়, ভাঙা কাঁচের বোতলে কাটছে পা। একাধিকবার চেষ্টা করেও কারা নিয়মিত এই দুষ্কর্ম করছে তা ধরা যায়নি। সেই কারণেই বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে তাঁদের।

    এলাকার বাসিন্দা সন্তু সাঁতরা বলেন, ‘দিনের পর দিন এই অত্যচারে আমরা অতিষ্ট। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বলেও এই দৌরাত্ম্য কমানো যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যারা মদ্যপান করছেন তারা সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট জায়গায় মদ্যপান করলে তাঁদের আপত্তির কিছু নেই। তবে এই ভাবে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।

    পুরস্কার এবং জরিমানা

    যারা এই কাজ করছেন তাদের কী ‘শাস্তি’ হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘এলাকায় নেশা করে, কাঁচের বোতল ভেঙে নোংরামি করলেই হাত-পা বেঁধে জল-বিছুটি দেওয়া হবে। সঙ্গে ২০ হাজার ১ টাকা জরিমানাও করা হবে।’ আর, যারা এই কাজ করছেন তাদের ধরতে পারলে? তাঁদের জন্য থাকছে আর্থিক পুরস্কার। তাদের কেউ ধরে দিতে পারলেই দেওয়া হবে ৫০০১ টাকা।

    প্রশাসনের দাবি

    এলাকার বাসিন্দারা এই অভিযোগ করলেও চন্দ্রকোণা পুরসভার দাবি, এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই তাদের। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুনীতা খাঁড়া বলেন, ‘আমার কাছে কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি। করলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।’ চন্দ্রকোণা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্রও জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। এলাকার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, তাদের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে সেই এলাকায় অভিযান চালানো হবে।

  • Link to this news (এই সময়)