স্কুল থাকলেও কোনও পড়ুয়া নেই বসে থেকে বেতন পাচ্ছেন ৬ শিক্ষক
বর্তমান | ১৯ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: স্কুল আছে, কিন্তু ছাত্র নেই। শিক্ষক আছেন, কিন্তু তাঁদের কাছে পড়তে আসার কেউ নেই। রয়েছে বড় বড় ঘর, বেঞ্চ, টেবিল, পাখা। শুধু নেই কোনও পড়ুয়া। ছাত্র-অভাবে রীতিমতো ধুঁকছে শ্যামনগর গুড়দহ হাই স্কুল। ১৯৬৪ সালে স্কুলটির প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১২-১৩ সাল পর্যন্ত শ’তিনেক ছাত্র ছিল। পরে ছাত্রের সংখ্যা কমতে থাকে। গত তিন বছর ধরে একজন ছাত্রও নেই এই স্কুলে। একজন ক্লার্কের মৃত্যুর পর আর কাউকে পাঠানো হয়নি।
এছাড়া একজন গ্রুপ ডি অবসর নেওয়ার পর আর কাউকে পাঠানো হয়নি। রয়েছেন শুধু ছ’জন শিক্ষক। তাঁরা স্কুলে আসছেন, গল্পগুজব করছেন, তারপর চলেও যাচ্ছেন। বসে বসে বেতন পাচ্ছেন তাঁরা। তাদের অন্য স্কুলে পাঠানো হোক– এই আবেদন জানিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে চিঠিও লিখেছেন ওই শিক্ষকরা। ওয়াকিবহাল মহলের মত, দিকে দিকে গজিয়ে উঠেছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। ফলে ধুঁকছে একাধিক বাংলা মাধ্যম স্কুল। ভাটপাড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের এই গুড়দহ হাই স্কুলেরও একই হাল। এই স্কুলে একটা সময় বহু ছাত্র পড়াশোনা করত। স্কুলে স্পোর্টস হতো, সারা বছর কোনও না কোনও অনুষ্ঠান হতো। এখন সব শুনশান। বর্তমানে এই স্কুলে নতুন করে আর কেউ ভর্তিও হচ্ছে না। তবে স্কুলের পরিকাঠামো যথেষ্টই ভালো। স্থানীয় কাউন্সিলার তথা বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অরুণ ব্রহ্ম জানান, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দাপটের জন্যই বাংলা মাধ্যম পিছিয়ে পড়ছে। স্কুল যাতে ইংলিশ মিডিয়াম করা যায়, মেয়েরাও যাতে একসঙ্গে পড়তে পারে, সে জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। সকলের কাছেই আবেদন থাকবে, আবার শিশুদের ভর্তি করে স্কুলটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক। নিজস্ব চিত্র