২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ঘিরে তৃণমূলের প্রস্তুতি তুঙ্গে, শুরু হল দেওয়াল লিখন
বর্তমান | ১৯ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: প্রতি বছরের মতো এবারও ঝাড়গ্রামের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কলকাতায় ২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ সভায় উপস্থিত থাকবেন। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে।
ঝাড়গ্রাম তৃণমূলের নেতৃত্ব কর্মসূচি ঘিরে মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠক করেন। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, জেলা তৃণমূলে সভাপতি দুলাল মুর্মু, চেয়ারম্যান বীরবাহা সরেন টুডু, জেলা সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডী সহ জেলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি ঘিরে আলোচনা হয়। বিভিন্ন ব্লক থেকে দলের নেতা-কর্মীরা কলকাতার শহিদ স্মরণ সভায় যাবেন। জেলাজুড়ে পোস্টার বিলি করা হবে। দলের কর্মীরা ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ব্লক ও অঞ্চল স্তরে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হবে। কর্মসূচির সমগ্ৰ বিষয়টি পরিচালনা করবেন জেলার কোর কমিটি। প্রতিটি ব্লকে পৃথকভাবে আরও একটি বৈঠক করা হবে। দলের সূচনা লগ্ন থেকেই ঝাড়গ্রাম থেকে দলের নেতা-কর্মীরা শহিদ স্মরণ সভায় যেতেন। তারজন্য তৎকালীন শাসক দল সিপিএমের নেতা কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছিল। জেলাজুড়ে চলা সন্ত্রাস ও খুনোখুনির রাজনীতির শিকার হয়েছেন নিচুতলার বহু কর্মী। অরণ্য অধ্যুষিত জেলার মাটিতেও মিশে আছে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের রক্ত। তৃণমূলের প্রথম যুগের রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা সেইসব নেতা কর্মীদের কথা আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। দুলাল মুর্মু বলেন, ২১ জুলাইয়ের স্মরণসভার কর্মসূচি নিয়ে জেলা নেতৃত্ব বৈঠক করেছেন। প্রতিবারের মতো এবার জেলার বহু নেতা কর্মী শহিদ স্মরণসভায় যাবেন। পোস্টার ছাপাতে দেওয়া হয়েছে। দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু হয়েছে। জামবনী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুসূদন মুর্মু বলেন, জেলা স্তরে বৈঠক হয়েছে। ব্লকস্তরে পৃথকভাবে আরও একটা বৈঠক হবে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে এদিন বৈঠক করা যায়নি। তবে দলের কর্মীরা এলাকায় এলাকায় দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিনপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বন্দনা আখুলি বলেন, ২১ জুলাই এলে লালগড়ে সন্ত্রাসের দিনগুলোর কথাও মনে করিয়ে দেয়। সেইসময় বহু নেতা কর্মী ঘরছাড়া হয়েছিলেন। নির্বিচারে তৃণমূল করা লোকদের মারা হয়েছিল। এই দিনটি তাঁদেরও স্মরণ করার দিন। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রসূণ ষড়ঙ্গী বলেন, স্থানীয় সিপিএমের লোকেরা আমাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। সেসব কখনও ভোলার নয়।