সংবাদদাতা, বালুরঘাট: ডিম বিলিকে কেন্দ্র করে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দিদিমণি এবং সহায়িকার মধ্যে তুমুল বচসা। সেই ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে। দিদিমণি মিনতি পাল সাহা দেওয়ালে ধাক্কা মেরে তাঁরই সহকর্মী তথা অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা নন্দা পালের মাথা ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভেনাস কালী মন্দিরের পাশের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে। রক্তাক্ত সহায়িকাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় চারটে সেলাই পড়েছে। আক্রান্ত সহায়িকার ছেলে দীপ পাল এদিন অভিযুক্ত দিদিমণির নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণির বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ অভিভাবকদের। এদিনের ঘটনার পর তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কাউন্সিলার শ্যামলকুমার সাহা, আসেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজার এবং পুলিস।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত শিশুদের অভিভাবকদের মধ্যে ডিম বিলিকে কেন্দ্র করে। বুধবার প্রথমে এক অভিভাবককে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি কাঁচা ডিম দেন। তা দেখে আরও এক অভিভাবক কাঁচা ডিম চান। দিদিমণি দিতে রাজি হননি। এ নিয়ে ওই দিদিমণির সঙ্গে এক পড়ুয়ার মায়ের বচসা শুরু হয়। বচসা মেটাতে অঙ্গনওয়াড়ির সহায়িকা ওই মহিলাকে কাঁচা ডিম দিতে যান। এতে রেগে গিয়ে দিদিমণি ডিম দিতে বাধা দেন। শুরু হয় দিদিমণি ওই সহায়িকার মধ্যে ধাক্কাধাক্কি। সহকর্মীকে দেওয়ালে ধাক্কা মেরে দিদিমণি মাথা ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
বিক্ষোভকারী অভিভাবক পম্পা মহন্ত বলেন, ওই দিদিমণি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বাচ্চাদের ঠিকমতো পড়ান না, খাবারও দেন না। যা বেঁচে যায়, বাড়ি নিয়ে যান।
পাল্টা অভিযুক্ত দিদিমণি বলেন, সহায়িকা আমার কথা শোনেন না। পাড়ার লোককে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেন। আমাকে ধাক্কা মারলে পড়ে গিয়েছিলাম।
স্থানীয় কাউন্সিলার বলেন, ওই দিদিমণির বিরুদ্ধে অভিভাবকরা অনেকদিন অভিযোগ করেছেন। এদিনের ঘটনার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানাব। সুপারভাইজার শঙ্করী দাস এসে রিপোর্ট নেন। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবটাই জানাব। হাসপাতালে সহায়িকা। - নিজস্ব চিত্র।