নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ হচ্ছে না, তা নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কাছে কৈফিয়ৎ তলব করলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। এধরনের গাফিলতি কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না বলে বুধবার স্পষ্ট করলেন তিনি। এমনকী পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় জেলাশাসক গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কর্তাদের রীতিমতো ধমক দেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। জেলাশাসক এদিন বলেন, কেন তারা টাকা খরচ করতে পারছে না, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কাছে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে জেলার ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পারফরম্যান্স অসন্তোষজনক। কিছু পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কাজেও খুব একটা সন্তুষ্ট নয় জেলা প্রশাসন। এনিয়ে ‘বর্তমান’ পত্রিকায় ধারাবাহিক খবর প্রকাশিত হয়। এদিকে বুধবার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে সবথেকে পিছিয়ে থাকা ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে রিভিউ মিটিং ডাকেন জেলাশাসক। বৈঠকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির প্রধান এবং নোডাল আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে একদিকে যেমন টাকা খরচ করতে না পারার ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে, তেমনই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাজে গতি বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। কয়েক মাসের মধ্যেই বাকি টাকার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কেন্দ্র গ্রামোন্নয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন চালু করে। পাঁচ বছরের জন্য পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়ে এক একটি অর্থ কমিশন চলে। এখন পঞ্চদশ অর্থ কমিশন চলছে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর এই কমিশন পরিবর্তন হয়। ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন শুরু হয়। আগামী আর্থিক বছর, ২০২৬-২৭ থেকে ষোড়শ অর্থ কমিশন শুরু হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ প্রতি আর্থিক বছরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে দুটো কিস্তিতে টাকা পেয়ে থাকে।
এক একটা কিস্তিকে আবার টায়েড এবং আন টায়েডে ভাগ করা হয়। মোট টাকার ৬০ শতাংশ বরাদ্দ করা হয় টায়েড ফান্ডের জন্য। এই টাকা থেকে মূলত পানীয় জল, নিকাশি এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের কাজ করা হয়। টায়েড ফান্ডের মূল লক্ষ্য, গ্রামীণ এলাকার জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। আনটায়েড ফান্ডের জন্য বরাদ্দ থাকে বাকি ৪০ শতাংশ টাকা। এই টাকা থেকে রাস্তাঘাট তৈরি, কালভার্ট নির্মাণ করা হয়।