মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকার জন্য যৌনকর্মীর পেটে ছুরি চালায় সাহিল
বর্তমান | ১৯ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা ‘তোলা’ না দেওয়ায় যৌনকর্মীকে ছুরি মেরে পালিয়ে গিয়েছিল সাহিল। ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। যৌনকর্মীকে খুন করার চেষ্টার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সাহিলকে ধরে বুধবার শিলিগুড়ি জংশন থেকে গ্রেপ্তার করে খালপাড়া ফাঁড়ি। অভিযুক্ত বিহারে পালানোর ছক কষেছিল। তার আগেই সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। এদিনই ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে হেফাজতে নেয় পুলিস।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছিল। এদিন মহম্মদ সাহিল গ্রেপ্তার হয়। তাকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
গত ১৩ জুন রাতে নিষিদ্ধপল্লিতে ঘরে ঢুকে এক যৌনকর্মীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল সাহিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই যৌনকর্মীর সঙ্গে সাহিলের ঝামেলা চলছিল। নিষিদ্ধপল্লির এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাহিলের। তবে সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জখম যৌনকর্মী। সেই কারণে তাঁর উপর রাগ ছিল। ঘটনার রাতে সাহিল ওই যৌনকর্মীর ঘরে ঢুকে তাঁর কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা তোলা চেয়েছিল। যৌনকর্মী সেই টাকা দিতে রাজি হননি। এরপরেই দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আচমকাই পকেট থেকে ছুরি বের করে যৌনকর্মীর পেটে ঢুকিয়ে দেয় অভিযুক্ত। যৌনকর্মীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘর থেকে বের হতেই পালিয়ে যায় সাহিল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খালপাড়া থেকে বের হয়ে রাতেই কোনওভাবে ডুয়ার্সে চলে গিয়েছিল সে। মোবাইল বন্ধ রেখেছিল। তবে ধীরে ধীরে পকেটের টাকা শেষ হতেই সে অন্য জায়গায় পালানোর ছক কষে। ঘটনার চারদিন কেটে যাওয়ায় সাহিল ভেবেছিল পুলিসের তল্লাশি অনেকটাই কমেছে। তাই মোবাইল অন করে খালপাড়ার নিষিদ্ধপল্লির এক বন্ধুকে সে ফোন করে। সেই ফোনের সূত্র ধরেই পুলিস জানতে পারে এদিন শিলিগুড়ি এসে বিহারে পালিয়ে যাবে সে। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিস ঘাপটি মেরে থাকে। ডুয়ার্স থেকে আসা বাস থেকে নামতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরা করে ছুরিটি উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। অভিযুক্ত সাহিলের বিরুদ্ধে আগেও অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ পুলিসের খাতায় রয়েছে। কয়েকবার জেলও খেটেছে সাহিল। সাহিলকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস। - নিজস্ব চিত্র।