• ‘মুসকান’ প্রকল্পে শিশুদের চিকিৎসা কেমন, খতিয়ে দেখল সমীক্ষক দল
    বর্তমান | ১৯ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কেমন আছে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগ? এর আগে ‘মুসকান’-এর কাজ খুব ভালোভাবে করার জন্য কোচবিহার মেডিক্যাল জাতীয় স্তরে ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রশংসিত হয়েছিল। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির মধ্যে প্রথম হওয়া সেই মেডিক্যাল কলেজেই এবার রাজ্যস্তরের সমীক্ষা হচ্ছে। 

    বুধবার দু’জনের একটি প্রতিনিধি দল কোচবিহার মেডিক্যালের শিশু বিভাগ, আউটডোর ঘুরে দেখে। শিশুমৃত্যু রুখতে সরকারি হাসপাতালে শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতেই ‘মুসকান’ প্রকল্পের কাজ হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় আড়াইশো রকমের মাপকাঠি খতিয়ে দেখা হয়। সেই কাজই এদিন হয়েছে। রাজ্যস্তরের এই পরিদর্শনের পর ২০২৬ সালে আবার এখানে কেন্দ্রস্তরের পরিদর্শন হবে। 

    কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি সৌরদীপ রায় বলেন, এদিন রাজ্যস্তরের দুই আধিকারিক মুসকান প্রকল্পের অধীনে এখানে কেমন কাজ হচ্ছে তা পরিদর্শন করেন। 

    শিশুরোগ বিভাগের প্রধান কল্যাণব্রত মণ্ডল বলেন, আমরা আগে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির মধ্যে প্রথম হয়েছিলাম। জাতীয়স্তরেও মুসকানে আমরা ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছি। সেই সাফল্য এখনও আমরা ধরে রাখতে পেরেছি কি না, ওই দলের প্রতিনিধিরা খতিয়ে দেখে গেলেন। 

    মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আউটডোর, এসএনসিইউ, পিকু, নিকু, শিশু বিভাগ সহ বিভিন্ন জায়গায় যান ওই আধিকারিকরা। তাঁরা ওসব জায়গার শিশুদের পরিষেবা ঠিকঠাক মিলছে কি না খতিয়ে দেখেন। রোগীদের বসার জায়গা, অভিযোগ বাক্স আছে কি না সেটাও দেখা হয়। একইসঙ্গে ওষুধ সঠিক জায়গায় গুছিয়ে রাখা আছে কি না, জরুরি ওষুধের তালিকা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, স্টোরে শিশুদের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে কি না খতিয়ে দেখেন ওই আধিকারিকরা। 

    কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ যেহেতু এর আগে মুসকান কোয়ালিফায়েড হাসপাতালের শিরোপা পেয়েছিল, তাই খানিকটা অতিরিক্ত আশা স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে। এখানে প্রচুর শিশু ভর্তি থাকার পাশাপাশি আউটডোরেও নিয়মিত বহু রোগী আসে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের শিশু বিভাগ কেমন চলছে, পরিষেবা আগের মতোই আছে, নাকি তার উন্নতি হয়েছে, সেসবই এদিন খতিয়ে দেখেন ওই প্রতিনিধিরা। যদিও আগামী দিনে রিপোর্ট এলে তবেই পরিষেবা বৃদ্ধি পেয়েছে কি না বিষয়টি বোঝা যাবে।  

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)