চলতি বছরে প্রথমবার দিঘার মাটিতে গড়াবে রথের চাকা। জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই দিঘায় ভিড় জমতে শুরু করেছে। দিঘার প্রথম রথযাত্রায় মানুষের ঢল নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তাই আগে থেকেই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।
কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন?
কুম্ভ মেলার মতো দিঘাতেও যাতে পদপিষ্টের ঘটনা না ঘটে তার জন্য বড় রশি বা দড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে পুরনো থেকে নতুন দিঘা পর্যন্ত প্রায় ৮-১০টি ‘মে আই হেল্প ইউ’ কাউন্টার করা হবে। রথের আগের দিন থেকেই দর্শনার্থীদের আলাদা গেটে দিয়ে প্রবেশ ও বের করানো হবে। ওই সময়ে দর্শনার্থীরা নেচার পার্কের সামনে মন্দিরের যে মূল গেট রয়েছে, তা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। আর বেরোনোর সময়ে তাঁদের ৬ এবং ৭ নম্বর গেট দিয়ে বেরোতে হবে।
রথযাত্রার পর প্রভু জগন্নাথ কিছুদিন মাসির বাড়িতে থাকবেন। স্বাভাবিক ভাবেই সেই সময়ে মাসির বাড়িতে দর্শনাথীরা ভিড় জমাবেন। তাই প্রভু জগন্নাথের মাসির বাড়িতে যারা যাবেন তাঁরা মূল জাতীয় সড়ক ধরে সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন। আর বেরোনোর সময়ে তাঁদের সি বিচের রাস্তা ধরে বেরোতে হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁশের অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে যান নিয়ন্ত্রণের আলাদা ব্যবস্থাও থাকবে।
জানা গিয়েছে, ২৫ জুনের পর থেকে সব গাড়িকে বাইপাস হয়ে নতুন দিঘায় প্রবেশ করানো হবে। অটো ও টোটোতেও থাকবে বিশেষ নিয়ন্ত্রণ। রথযাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে আগামী ২৫ জুনই দিঘায় পৌঁছে যাবেন মন্ত্রী সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও পুলক রায়। ২৬ তারিখ আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নেত্র উৎসবেও অংশ নেবেন। নিরাপত্তার জন্য হাওড়া, বিধাননগর, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে কয়েক হাজার পুলিশকে নিয়ে আসা হবে। কখন, কী ভাবে গোটা রথযাত্রা পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে আগামী ২৪ তারিখ নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবে মন্দিরের দায়িত্বে থাকা ইসকনের প্রতিনিধিরা।
কী বললেন রাধারমণ দাস?
কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি তথা মন্দির ট্রাস্টের সদস্য রাধারমন দাস বলেন, ‘নেত্র উৎসব বা রশি পুজোর দিন থেকে আবার জগন্নাথের দর্শন মিলবে। ওই দিন থেকে মানুষের ভিড় আরও বাড়বে। আগত মানুষজন যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রভুর দর্শন করতে পারেন, তার জন্য প্রশাসনকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানানো হয়েছে।’
কী জানালেন জেলাশাসক?
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘দিঘায় জগন্নাথের রথে যে দর্শনাথীরা আসবেন, তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দর্শনাথীরা যাতে কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন না হন সেই দিকে আমাদের বিশেষ নজর থাকবে।’