অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে রাজ্যে আসার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তিনিই আবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন বিভাগের অতিথি অধ্যাপক! ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই যুবকের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড-সহ অন্যান্য নথি কীভাবে তৈরি হল? সেই প্রশ্নও উঠেছে। ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত শান্ত ভৌমিক গা ঢাকা দিয়েছেন! কীভাবে ওই যুবক নথিপত্র তৈরি করালেন? কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন বিভাগের অতিথি অধ্যাপক হিসেবে ক্লাস করাচ্ছিলেন শান্ত ভৌমিক। ভারত-পাকিস্তান, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতির পর থেকেই অনুপ্রবেশ ইস্যু মাথাচাড়া দেয়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাকড়াও হচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীরাও। সেই আবহে সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে শান্ত ভৌমিকও অনুপ্রবেশকারী। তারপরেই হইচই পড়ে যায়। অভিযোগ, তিনি ভোটার, আধার কার্ড তৈরি করে ফেলেছিলেন! শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও শোনা যায়। বিষয়টি জানাজানির পর ওই যুবক আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন না। পরে জানা যায়, শান্ত ভৌমিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম রেজিস্টার স্বপনকুমার রক্ষিতকে ইমেল মারফত, চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম রেজিস্টার স্বপন কুমার রক্ষিত বলেন, “ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে যতজন বিদেশি পড়ুয়া রয়েছেন, তাঁরা যেন পরীক্ষার আগে বৈধ ভিসা, পাসপোর্ট-সহ যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে এসে দেখা করেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি মাস কমিউনিকেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছে এই বিষয়ে যাবতীয় রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, “৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় শান্তর নাম নেই। ওই ওয়ার্ডের একটি ডেভলপারের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন ফ্ল্যাট কিনবেন বলে। যদিও পরে রেজিস্ট্রি হয়নি।” ভোটার, আধার কার্ড এই সমস্ত কিছু কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন। সেই কথাও তিনি জানিয়েছেন।