রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নদিয়ায় কার্যত সেমি ফাইনাল আগামিকাল, বৃহস্পতিবার। কালীগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন। ত্রিমুখী লড়াই। তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর মুখোমুখি লড়াই নদিয়ার এই আসনে।
তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুতে ফাঁকা হয় এই আসন। উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী এখানকার প্রয়াত বিধায়কের মেয়ে আলিফা আহমেদ। বিজেপি প্রার্থী ‘আদি’ নেতা আশিস ঘোষ। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করবেন কাবিলউদ্দিন আহমেদ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ভোটের ফলাফল ছাব্বিশের বিধানসভার ভোটের আয়না হতে চলেছে। তাই তৃণমূল, বিজেপি, বাম-কংগ্রেস জোট-সহ সমস্ত দলের নেতাকর্মীরা মাটি কামড়ে পড়ে আছে ভোটের ব্যবধান বাড়াতে।
কালীগঞ্জ বিধানসভায় বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৭০ জন, তারমধ্যে মহিলা ১ লক্ষ ২২ হাজার ৩০৩ জন ও পুরুষ ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৬৩ জন, অন্যান্য ৪ জন। কালীগঞ্জ ব্লকের মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা -১৫টি, তবে বিধানসভার নিরিখে ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচন হবে। এই ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টি শাসক দলের দখলে আছে, দুটি বিরোধীদের। বিজেপির ১, সিপিএমর ১। কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৪৫। তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৩৮, সিপিএমের ৫ ও বিজেপির ২টি।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নাসিরউদ্দিন আহমেদের (লাল) প্রাপ্ত ভোট- ১ লক্ষ ১১ হাজার ৬৯৬ টি, শতাংশের বিচারে ৫৩%। বিজেপির অভিজিৎ ঘোষ পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৭০৯, শতাংশের বিচারে ৩১ শতাংশ। সিপিএমের আবুল কাশেম ২৫ হাজার ৭৬টি। ১২ শতাংশ। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত কালিগঞ্জ বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের প্রাপ্য ভোট- ৯৪ হাজার ১৮টি, বিজেপির অমৃতা রায় পেয়েছিলেন ৬৩ হাজার ২৪৫টি, আর সিপিএমের এস এম শাদীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৬ হাজার ৬৯৮টি।
২০২১ এর বিধানসভা ভোটের নিরিখে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কালিগঞ্জ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কমেছে ১৭ হাজার ৬৭৮টি। এই উপনির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোট যদি একটা অংশের ভোট তাদের বাক্সে টানতে পারে এবং বিজেপি যদি আগের তুলনায় কিছু অংশে ভোটের মার্জিন বাড়াতে পারে তাহলে ফলাফলের আমূল পরিবর্তন ঘটতে পারে।