বিক্রম দাস: সাতসকালে কলকাতার বুকে গড়িয়াহাটের মত অভিজাত এলাকায় ভোর ৩:৩০ মিনিটে গড়িয়াহাট থানা, স্থানীয় গৌতম দেবনাথের কাছ থেকে খবর পান যে ৩৬ কে, মহানির্বাণ রোডে এক ব্যাক্তির ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে, মহানিরবান রোডের দ্বিতীয় তলায় পৌঁছন পুলিস।
দেখতে পান যে ফ্ল্যাটের মূল দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এরপর মূল দরজা ভেঙে পুলিস দেখে ওড়িশার কনস্টেবল সুব্রত কুমার সাহু (৩২ বছর),ঝুলন্ত দেহ। তাঁর বাবা জয়া কৃষ্ণ সাহু, বলরামপুর থানা-ঘাসিপুরা জেলা-কেওনঝড়ের বাসিন্দা। 'গামছা'-এর সাহায্যে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
তারপরে তার সহকর্মীদের সহায়তায় তাকে দ্রুত নামিয়ে আনা হয়।
পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে কোনও প্রাণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তদন্তে আরও জানা গেছে যে গত দুই দিন ধরে তিনি অত্যন্ত বিষণ্ণ ছিলেন। ওড়িয়া ভাষায় একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি তাঁর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, একটি কোর্স করতে কলকাতায় এসেছিলেন ওই কনস্টেবল। গড়িয়াহাট থানার অন্তর্গত মহানির্বাণ রোডের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানেই থাকছিলেন বিগত কয়েক মাস ধরে। ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কী কারণে এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সুব্রত কুমার সাহুর মৃতদেহ সিএনএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্ত করা হবে।