• শরীর ফুঁড়ে ঢুকল বাটাম, ছিড়ল ফুসফুসের পর্দা, মরণাপন্ন ব্যক্তির প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকরা
    বর্তমান | ১৯ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: রাতে খাওয়াদাওয়ার পর বরাবরই ছাদে পায়চারি করা অভ্যাস বিমা এজেন্ট স্বপন মুস্তাফির। গতকাল অর্তাৎ মঙ্গলবার রাতেও সেইমতো রাত সোয়া ১১টা নাগাদ ছাদে উঠেছিলেন জলপাইগুড়ি শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ নম্বর ঘুমটির বাসিন্দা বছর পঞ্চানোর স্বপনবাবু। এরপরই ঘটে যায় অঘটন। বাড়ির ছাদে রেলিং নেই। ফলে পায়চারি করার সময় আচমকাই মাথা ঘুরে নীচে পড়ে যান তিনি। সটান এসে পড়েন বেড়ার উপর। তাঁর পিঠ ফুঁড়ে ঢুকে যায় সুঁচালো বাটাম। এতে ছিঁড়ে যায় ফুসফুসের পর্দা! শরীরে গেঁথে থাকা ওই বাটাম একটু এদিক ওদিক হলেই ফুসফুস, কোলনের মারাত্মক ক্ষতি হওয়া সম্ভাবনা। প্রায় মরণাপন্ন ওই ব্যক্তিকে কিন্তু ফিরিয়ে দেননি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। বরং তাঁকে বাঁচাতে মাঝরাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ঝুঁকি নিয়ে রাতভর চলে অপারেশন। অবশেষে ওই রোগীর পিঠ ফুঁড়ে ঢুকে যাওয়া প্রায় আট ইঞ্চি লম্বা এবং দেড় ইঞ্চি পুরু সুঁচালো বাটাম বের করতে সমর্থ্য হন চিকিৎসকরা। এরপর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। আজ, বুধবার দুপুরে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, এটা টিম ওয়ার্ক। হাসপাতালের টিম ভালো কাজ করেছে। পাশাপাশি রোগীর পরিবারও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। তারজন্যই এতটা ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)