লাগাতার বৃষ্টির মধ্যেই বুধবার দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। এ দিন দুপুরের দিকে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৩৮ হাজার ৪০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। সন্ধ্যে ছ’টার সময়ে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৪৫ হাজার ৯০০ কিউসেক। গত দু’দিন ধরে দামোদর অঞ্চলে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিস বিভিন্ন রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে।
রাজ্যের পাশাপাশি বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টি হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট ও তিলিয়া বাঁধ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। সেই জল এসে জমা হচ্ছে মাইথন ও পাঞ্চেতে। ফলে এই দুই বাঁধেও জলের পরিমাণ বাড়ছে।
সূত্রের খবর, এ দিকে পাঞ্চেত ও মাইথন থেকেও ক্রমাগত জল ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এ দিন সকালে পাঞ্চেত থেকে ৩৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। মাইথন থেকে ছাড়া হয় ১৫ হাজার কিউসেক জল। রাতের দিকে দুটি ড্যাম থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্গাপুর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সেচ দপ্তরের দুর্গাপুর শাখার (দামোদর হেড ওয়ার্কস) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার বলেন, ‘পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। এর সঙ্গে লাগাতার বৃষ্টিও হচ্ছে। এ দিকে দামোদরের জলস্তর বাড়ছে। রাতের দিকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।’
প্রসঙ্গত, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরেই পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও ঘাটালের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ, এর আগেও এইসব এলাকায় জল ছাড়ার জেরে বন্যা হয়েছিল।