সিদ্ধ ডিম বিতরণের সময় বিতণ্ডা। তুলকালাম পরিস্থিতি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। প্রথমে ঝগড়া, তার পর চুলোচুলি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি এবং অভিভাবকদের। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে মাথা ফাটল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক সহায়িকার। তদন্তে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
অভিভাবকদের অভিযোগ, বালুরঘাটের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ডিম বিতরণ করা হয় না। এক অভিভাবিকার কথায়, ‘‘নিজের মর্জিতে অঙ্গনওয়াড়ি চালান দিদিমণি।’’ এই সব অভিযোগ নিয়েই বুধবার বালুরঘাট শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভেনাস কালীমন্দির পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে উপস্থিত হন অভিভাবক-অভিভাবিকারা। ঠিক সেই সময় ডিম বিতরণ হচ্ছিল। কিন্তু বিতরণের পদ্ধতি নিয়ে এক অভিভাবক প্রশ্ন তোলেন। তার জবাব দেন দিদিমণি মিনতি পাল সাহা। এক-দু’কথায় তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
ক্রমশ উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। তখন হস্তক্ষেপ করেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ‘হেল্পার’ নন্দা পাল। তিনি অভিভাবকদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছিলেন বলে খবর। তাতে ক্ষুব্ধ হন দিদিমণি। শুরু হয় দু’জনের তর্কাতর্কি। তখনই ঠেলাঠেলিতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান নন্দা। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, দিদিমণি হেল্পারের গায়ে হাত তুলেছেন।
চিকিৎসার জন্য নন্দাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে আবার এক বার উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ভিড় করেন স্থানীয়েরা। বিক্ষোভ, গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। ছুটে যান স্থানীয় কাউন্সিলর শ্যামলকুমার সাহা। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ জানিয়েছে, ঠিক কী ঘটেছিল, তার তদন্ত হচ্ছে।