অগস্ট থেকে রাজ্যে একশো দিনের প্রকল্পের কাজ চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের রায় নিয়ে রিভিউ পিটিশন করা হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বকেয়া মেটানো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন মমতা। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, ‘টাকা আমরা সরকার থেকে দিয়েছি। আমাদের টাকা আমাদের ফেরত দিতে হবে। যে দিন থেকে এই কাজ বন্ধ হয়েছে, সে দিন থেকে হিসাব করে টাকা দিতে হবে। আমাদের টাকা কেন অন্য রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে? এটা তো অপরাধ!’
এ দিন কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, তিন বছর ধরে এই প্রকল্পের কাজ আটকে রাখার কোনও যুক্তি নেই। বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, এই প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য যে কোনও শর্ত আরোপ করতে পারবে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের জন্য পৃথক শর্ত আরোপ করা হতে পারে। রায় রিভিউ করার কথা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমরা রিভিউ পিটিশন করব। আপনারা বাংলায় দল পাঠাচ্ছেন। আগে তো টাকা দিন। চার বছর হয়ে গেল। একটা পয়সাও দিচ্ছে না। এটা জনগণের টাকা।’
সম্প্রতি ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালনের জন্য প্রতিটি রাজ্যকে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। দেশে জরুরি অবস্থা জারির ৫০ বছর পূর্ণ উপলক্ষ্যে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এ দিন সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রকে মমতার প্রশ্ন, ‘নোটবন্দির সময়েই গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। কত মানুষকে কত দিন ধরে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে নোট বদলানোর জন্য। অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন! সেই দিনটাকে কেন ‘ব্ল্যাক মানি ডে’ বলে পালন করা হবে না?...পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর বিশেষ অধিবেশনের আবেদন করা হয়েছিল। বিরোধীদের কথা শোনা হয়নি। সন্ত্রাস বিরোধী দিবস কেন পালন করা হবে না?’ এই দিবস রাজ্যে পালন হবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের সরকারের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী ২০ জুন উত্তরপ্রদেশের রাজভবনে ‘বাংলা দিবস’ পালন করার কথা জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। এর বিরোধিতা করে মমতার বক্তব্য, ‘২০ জুন প্রতি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে।…বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করবেন? এটা বাংলার চরম অপমান।’ উল্লেখ্য, রাজ্যের তরফে ১ বৈশাখ বাংলা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বর্তমান রাজ্য সরকার।