• মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কার ও রথযাত্রার প্রস্তুতি কত দূর? ফোন মুখ্যমন্ত্রীর
    প্রতিদিন | ১৮ জুন ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: রথযাত্রার প্রস্তুতি তুঙ্গে শ্রীরামপুরের মাহেশে। স্নানযাত্রার পর থেকে ভক্তদের দর্শন দেন না প্রভু জগন্নাথদেব। মন্দির আপাতত বন্ধ। প্রতি বছর মাহেশের রথযাত্রা নজর কাড়ে। এবার প্রস্তুতি কেমন? জগন্নাথদেবের মন্দিরের উন্নয়নের বিষয়ে ফোন করে খোঁজ নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দিরের সম্পাদক পিয়ালকৃষ্ণ অধিকারীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বলে খবর। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজখবর নিচ্ছেন, সেজন্য আপ্লুত পিয়ালকৃষ্ণ অধিকারী।

    পিয়ালকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ফোন করেছিলেন। তাঁকে রথযাত্রা ও গোপাল উৎসবের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, আগে রথযাত্রা উৎসবে মাহেশে এসেছিলেন ও রথের রশিতেও টান দিয়েছেন। কিন্তু এবার তাঁর নানা কর্মসূচি রয়েছে। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করে সব খবর নিচ্ছেন। আমি আপ্লুত।”

    হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশের রথযাত্রা বরাবরই প্রসিদ্ধ। লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে মাহেশ। গত সপ্তাহে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রায় হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়েছিল। আগামী ২৭ তারিখ রথযাত্রা। সেজন্য জোর তোড়জোড় চলছে মন্দিরে। রথ সাজানোর কাজও চলছে জোরকদমে। এক সময় মাহেশের জগন্নাথদেবের মন্দির সংস্কার হয় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে মাহেশ। পিয়ালকৃষ্ণ অধিকারী আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরের বাকি কাজ নিয়েও জিজ্ঞাসা করেন।” সিংহদুয়ার সংস্কার, এছাড়া একটি অতিথিশালা তৈরি, মন্দিরের দিক নির্দেশের বিশেষ ব্যবস্থা, প্রভু জগন্নাথ দেবের স্নানপিড়ি আরও বড় করার দরকার। সেই কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, সব কিছুই হবে। প্রকল্প আকারে বিষয়গুলি জমা দিতে বলা হয়েছে। সেসব বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলেও জানিয়েছেন পিয়ালকৃষ্ণ। বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে সৌরশক্তির ব্যবস্থার জন্যও ইতিমধ্যেই হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সে কথাও এদিন জানানো হয়েছে।

    শ্রীরামপুর পুরসভার পুরপারিষদ সন্তোষ সিং বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন। আর মাহেশ জগন্নাথ দেবের মন্দির ও শ্রীরামপুরকে ঢেলে সাজিয়েছেন। আর শ্রীরামপুর আগামী দিনে পর্যটন মানচিত্রে আরও বড় জায়গা করে নেবে। শ্রীরামপুর নিয়ে আরও অনেক বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে, যেটা আগামী দিনে বাস্তবায়িত হবে।” হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা এদিন নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এলাকা ঘুরে দেখেছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)