রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নিষেধাজ্ঞা উঠতেই সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল ট্রলার। প্রথমবারেই মুখে চওড়া হাসি ফুটল মৎস্যজীবীদের। জালে উঠল জলের রুপোলি শস্য। দিঘায় মরশুমের প্রথম দিনেই উঠল ১৫ টন ইলিশ। আগামী দিনে আরও ইলিশ জালে ধরা পড়বে। সেই আশা করছেন মৎস্যজীবীরা। এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নামখানায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে ৩০ টন ইলিশ।
দু’মাসের নিষেধাজ্ঞার সময়কাল কাটিয়ে ১৪ জুন গভীর রাতে সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য বেরিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবীরা ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দিয়েছিলেন। আজ, বুধবার সকালে দিঘায় ভিড়তে শুরু করে একের পর এক ট্রলার। মৎস্যজীবীদের মুখে দেখা যায় হাসি। একের পর এক ইলিশ মাছ নামানো হতে থাকে ট্রলার থেকে। এদিন মোট ১৫ টন ইলিশ দিঘায় উঠেছে বলে খবর। জলের রুপোলি শস্যের এক একটির ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে দেড় কিলো পর্যন্ত বলে জানা গিয়েছে। ওই ইলিশ দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সেগুলির দাম নির্ধারিত হয়েছে। দাম উঠেছে কেজি প্রতি ৬০০ থেকে দেড় হাজার টাকা।
৬১ দিন এবার সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। রাজ্যে বর্ষা আসার শুরুতেই ট্রলার নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। এদিন একাধিক ট্রলার ফিরে এল ইলিশ-সহ অন্যান্য মাছ নিয়ে। ইলিশ জালে উঠেছে খবর পেয়েই মোহনার মাছবাজারে ভিড় করতে থাকেন ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষজন। বর্ষার মরশুমে আগামী দিনে আরও ইলিশ জালে উঠবে। সেই আশা করছেন ব্যবসায়ী থেকে মৎস্যজীবীরা। বেশি পরিমাণে ইলিশ এলে দাম আরও কিছুটা কমতে পারে। সেই আশাও করা হচ্ছে। গত বেশ কয়েক বছরে তেমনভাবে ইলিশ মাছ জালবন্দি হয়নি। আশাহত হয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। এবার আশায় দিন গুনছেন তাঁরা।