শ্রীকান্ত ঠাকুর: ডিম বিতরণ নিয়ে চুলোচুলি দিদিমণি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের হেল্পার ও অভিভাবকদের মধ্যে। ধাক্কাধাক্কিতে মাথা ফাটল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের হেল্পারের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। অভিভাবকদের অভিযোগ, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ডিম বিতরণ করা হয় না। নিজের ইচ্ছা মত চলেন দিদিমণিরা। যা নিয়েই বুধবার ক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
এতেই অভিভাবকদের হয়ে কথা বলেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের হেল্পার। এতেই কথাকাটাকাটি শুরু হয় দিদিমণি ও হেল্পারের মধ্যে। এর জেরেই সরাসরি হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় অভিভাবক ও দিদিমণির সঙ্গে। দিদিমণি দরজা ধাক্কা মারতেই হেল্পার পরে যায় এবং মাথা ফাটে। ঘটনায় হেল্পার ভর্তি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। তদন্তে বালুরঘাট থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাট শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভেনাস কালিমন্দির পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়মমাফিক শিশুদের জন্য ডিম বিতরণ চলছিল। সেই সময় ডিম দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে এক অভিভাবক প্রশ্ন তোলেন। অভিযোগ, উত্তরে দিদিমনি মিনতি পাল সাহা অভিভাবকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, হস্তক্ষেপ করেন কেন্দ্রের হেল্পার নন্দা পাল।
অভিভাবকদের পক্ষ নিয়ে তিনি কথা বলেন। সেই ক্ষোভেই হেল্পারকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দিদিমণির বিরুদ্ধে। তাকে দ্রুত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ঘিরে বিক্ষোভ দেখান একাধিক অভিভাবক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বালুরঘাট থানার পুলিস। ঘটনাস্থলে ছুটে যান এলাকার কাউন্সিলর শ্যামল কুমার সাহা। এদিকে, ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিস।