তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা ‘মহাত্মা গান্ধীর রুরাল এমপ্লয়মেন্ট প্রকল্প’ (১০০ দিনের কাজ) রাজ্যে চালু করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ১ অগস্ট থেকে এই প্রকল্প চালু করতে হবে, বুধবার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ। অর্থাৎ এই প্রকল্পে টাকা দিতে হবে কেন্দ্রকে।
১০০ দিনের কাজ নিয়ে আগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পরে সেই অনিয়ম যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে, স্পষ্ট বার্তা আদালতের। ৩ বছর ধরে দুর্নীতির অভিযোগে এই প্রকল্প বন্ধ ছিল। এ বার তা চালু হতে চলেছে আদালতের নির্দেশে।
১০০ দিনের প্রকল্পের পরিষেবা যাতে গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছয়, সেই দিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধের অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অতীতে একাধিক বার সুর চড়িয়েছিল রাজ্য। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন।
এরই মধ্যে ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর আবেদন ছিল, কেন রাজ্যে এমনটা হচ্ছে, সে বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করুক। মামলাটি যায় প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে। কেন রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প বন্ধ রেখেছিল, তা নিয়ে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আগেই রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৫ মের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, এই মামলায় মার্চ মাসের ২০ তারিখ নোডাল অফিসার কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানে আদালতের নিযুক্ত চার সদস্যের কমিটি বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের চার জেলা পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদা এবং দার্জিলিং জিটিএ এরিয়া পরিদর্শন করেন। কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে গোলমাল হয়েছিল। তার মধ্যে ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকার মতো পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে।
এই রায়ের পর রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি পর্যন্ত আন্দোলন পৌঁছে গিয়েছিল।