ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে লোকাল ট্রেনে যাতায়াতের দিন কি শেষ হতে চলেছে? ৮ বা ১২ বগি নয়, এ বার ১৬ বগির যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। তেলঙ্গনার কাজিপেটে শীঘ্রই রেলের নতুন কারখানা চালু হচ্ছে। সেখানেই নতুন কোচ তৈরি হবে। এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
জানা গিয়েছে, মোট ১০০টি মেইন লাইন ইএমএউ মেমু ট্রেন তৈরি করা হবে। সেগুলি ১৬ কোচের হবে। পরবর্তীকালে ট্রেনগুলিকে ২০ কোচ করা হতে পারে বলেও জানান রেলমন্ত্রী। এছাড়াও ৫০টি ‘নমো-ভারত’ এসি প্যাসেঞ্জার ট্রেনও আনা হচ্ছে। কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি হলে যাত্রীরা আরও আরামে স্বল্প দূরত্বের ট্রেন যাত্রা করতে পারবেন বলেই মনে করছে রেল। তবে নতুন ১০০টি মেমু ট্রেন কোন কোন শহরে চালানো হবে, সে ব্যাপারে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
দিনের পর দিন যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ১২ বগির ট্রেনেও উপচে পড়ে ভিড়। দিল্লি, মুম্বই হোক বা কলকাতা, দৃশ্য একই। লোকাল ট্রেনের কোচ বাড়ানোর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। সেক্ষেত্রে রেলমন্ত্রীর ঘোষণার পর গোটা দেশ জুড়েই লোকাল ট্রেনের কোচ সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, মুম্বইতে ভিড়ে ঠাসা লোকালের পাদানিতে ঝুলে গন্তব্যে যেতে গিয়ে লাইনে পড়ে যান একাধিক যাত্রী। চার জনের মৃত্যু হয়। মুম্বইয়ের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, লোকাল ট্রেনে কতটা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ায় করতে হয় যাত্রীদের। ২০২৪ সালেই শিয়ালদহ উত্তর এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ দুই শাখাতেই সব লোকাল ট্রেন ১২ কোচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার পরেও সমস্যা মেটেনি।
শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রতিদিন কমবেশি ৮৯২ টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। বারাসাত, ব্যারাকপুর, শান্তিপুর, নৈহাটি, শ্যামনগর, বনগাঁ, ডানকুনি, সোদপুর, খড়দহ-সহ বিভিন্ন গন্তব্যস্থলে অফিস টাইমে বাদুড়ঝোলা হয়ে যেতে হয় যাত্রীদের। এই সমস্যা ১৬ কোচ হলে মিটবে, আশায় রয়েছেন যাত্রীরা।