নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরে মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টা। ভয়াবহ ঘটনা বাঁকুড়ায়। অভিযুক্ত মত্ত যুবককে গণধোলাই স্থানীয় বাসিন্দাদের। নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। খুন ও ধর্ষণ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু পুলিশের।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে পাত্রসায়ের থানা এলাকার একটি গ্রামে বছর দশেকের এক নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে লালু লোহার নামের স্থানীয় ওই যুবককে গ্রামের রাস্তায় দেখেন স্থানীয়রা। তার পর থেকে ওই নাবালিকার কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। সন্দেহ হওয়ায় সন্ধ্যায় ওই যুবককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে স্থানীয়রা। মত্ত যুবকের অসংলগ্ন কথায় স্থানীয়রা একপ্রকার নিশ্চিত হন যে, ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করছিল লালু।

যুবকের দেখানো জায়গায় সদ্য খোঁড়া একটি গর্ত এবং তার পাশেই একটি কোদাল দেখতে পান স্থানীয়রা। অদূরেই পড়েছিল নাবালিকার বিবস্ত্র দেহ। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ লালুর উপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পাত্রসায়র থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় লালুকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাত্রসায়ের থানার ওই গ্রামে।

বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘পাত্রসায়ের থানা এলকায় একটি ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে আহত অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। আজ তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থর থেকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়েছে।’

নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। উত্তেজনার কারণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।