মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জামকুড়ি পঞ্চায়েতে। সন্ধ্যার দিকে নাবালিকা বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় অভিযুক্ত যুবক লালুপ্রসাদ লোহার নাবালিকাকে লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পাশবিক অত্যাচার চালানোর পর ৮ বছরের নাবালিকাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। পরে দেহ লোপাটের জন্য গর্ত খুঁড়ছিল বলে দাবি গ্রামবাসীর।
স্থানীয়দের দাবি, তারা বিষয়টি দেখে ফেলতেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসী। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল বিষয় উঠে আসে। পাশের জঙ্গলেই নাবালিকার দেহ দেখতে পারেন স্থানীয়রা। তারপর ক্ষিপ্ত জনতা লালুপ্রসাদকে গণধোলাই দেন। তাতেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পাত্রসায়র থানার বিশাল পুলিশ। নাবালিকা ও যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “বৃষ্টির পর মেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল। তারপর ওকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমার সব শেষ হয়ে গেল।” পুলিশ জানিয়েছেন, দু’জনের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। দু’টি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রং। ধর্ষণে অভিযুক্ত (মৃতও) যুবক বিজেপির সক্রিয়কর্মী বলে দাবি তৃণমূলের। ২০২১ সালে গেরুয়া শিবিরের হয়ে ভোটের ময়দানে সে নেমেছিল বলে দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর জেলা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুব্রত দত্তের দাবি, “লালুপ্রসাদ লোহার বিজেপি কর্মী। আগেও মহিলাঘটিত অপরাধে তার নাম জড়িয়েছিল। এই ঘটনা প্রমাণ করছে বিজেপি মহিলাদের সম্মান করে না। নাবালিকা কন্যা আজ বিজেপি কর্মীর লালসার শিকার হল।”