নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই পানিহাটিতে জলবন্দি বিটি রোড। সার্ভিস রোডে হাঁটুসমান জল। আশপাশের রাস্তা খোলা ড্রেনের রূপ নিয়েছে। আর এমন অবস্থায় বিটি রোডের ড্রেন সংস্কারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে ড্রেন থেকে বের করে সার্ভিস রোডে রাখা নোংরা ও আবর্জনা ফের ড্রেনেই ঢুকতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষার মধ্যে ড্রেন সংস্কারের কাজ হলে টাকাগুলি স্রেফ জলে ফেলা হবে। পুরসভাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যে কেএমডিএ ও ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটির দিক থেকে বিটি রোড ধরে পানিহাটির দিকে এগলে পানিহাটির বেহাল ড্রেনেজ ব্যবস্থার চিত্র চোখে পড়বে। ঐতিহ্যবাহী বেঙ্গল কেমিক্যাল কারখানার সামনে থেকে সোদপুর পর্যন্ত বারাকপুরগামী লেনের সার্ভিস রোড প্রায় সারা বছর জলের তলায় থাকে। কারণ, বিটি রোডের দুই দিকের হাইড্রেন প্রায় পাঁচ বছর সংস্কার করা হয়নি। ফলে যাবতীয় নোংরা ও আবর্জনা জমে ড্রেনটি কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। ওই হাইড্রেনের সঙ্গে শহরের ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বহু ড্রেন যুক্ত রয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা নোংরা জলে উপচে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিটি রোডের ড্রেন পরিষ্কারের জন্য কেএমডিএ প্রায় ১ কোটি আট লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৫৬ টাকা বরাদ্দ করেছিল। সম্প্রতি, গির্জা মোড় আমবাগান থেকে কামারহাটি সিইএসসি অফিস পর্যন্ত বিটি রোডের দুই দিকের হাইড্রেন পরিষ্কারের কাজ শুরু করাও হয়েছিল। জল ভর্তি ড্রেন থেকে আবর্জনা ও মাটি তুলে পাশে সার্ভিস রোডে জমা রাখা হচ্ছিল।
কিন্তু বৃষ্টি শুরু হতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, বেঙ্গল কেমিক্যাল কারখানার আগে থেকেই ড্রেনের জল উপচে সার্ভিস রোডে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়েছে। বিটি রোডের বারাকপুরগামী লেনের অর্ধেকও জলমগ্ন। বেঙ্গল কেমিক্যাল ও ধানকল মোড় থেকে গঙ্গার দিকে যাওয়ার রাস্তাও জলমগ্ন। ড্রেন থেকে বের করে সার্ভিস রোডে ডাঁই করে রাখা আবর্জনা জমা জলে ভাসছে। তা আবার ঢুকছে ড্রেনে।
এদিন দুপুরে রাস্তা পরিদর্শনে পূর্তদপ্তরের আধিকারিকরাও এসেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এইভাবে কাজ করলে সরকারের টাকা জলেই যাবে। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে বলেন, সমস্যার বিষয় নিয়ে কেএমডিএ ও ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। সার্ভিস রোডে ড্রেনের আবর্জনা ও মাটি না রাখার কথা বলা হয়েছে। ড্রেন থেকে তোলা আবর্জনা, মাটি সরাসরি ডাম্পারে তুলে অন্যত্র পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।