• নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু, ভাঙচুর
    বর্তমান | ১৮ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: শ্যামনগর বাসুদেবপুর দিঘির পাড় এলাকায় নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এদিন বিকেলে মৃতের বাড়িতে ফোন করে বলা হয়, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। যদিও আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে রাজি নন মৃতের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা এবং মৃত যুবকের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা। নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চলে, কর্তৃপক্ষের লোকজনকে মারধর করা হয়। 

    স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নেশা মুক্তি কেন্দ্রে মৃত ওই যুবকের নাম অরণ্য বারুই (২৩)। বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনগ্রাম এলাকায়। ওই যুবক মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই ভাটপাড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসুদেবপুর দিঘিরপাড় এলাকার এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে এই বছরের ১৭ জানুয়ারি বাড়ির লোক তাঁকে ভর্তি করেন। সেখানেই মঙ্গলবার মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এদিন নেশা মুক্তি কেন্দ্রের তরফে বাড়িতে ফোন করে বলা হয়, অরণ্য গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পাওয়া মাত্রই পরিবার ও পড়শিরা দল বেঁধে ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে হাজির হন। তাঁরা অভিযোগ করেন, অরণ্যকে খুন করা হয়েছে। 

    মৃতের দাদা কার্তিক বারুই বলেন, ভাইয়ের একটু সমস্যা হওয়ায় ওকে ভর্তি করেছিলাম নেশা মুক্তি কেন্দ্রে। ওঁরা বলেছিলেন, পাঁচ-ছ’মাস থাকলে ঠিক হয়ে যাবে। এদিন ফোন করে আমাদের বলা হয়, ভাই আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু যেখান থেকে ভাইয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে কোনওভাবে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়। তাঁদের অভিযোগ, অরণ্যকে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে এদিন বাড়ির লোক চড়াও হন ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে। সেখানে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের তরফে অভিজিৎ পাল ও প্রীতম কুণ্ডুকে ব্যাপক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে জগদ্দল ও বাসুদেবপুর থানা পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নেশা মুক্তি কেন্দ্রের দু’জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুলিস দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
  • Link to this news (বর্তমান)