• অমিল ম্যাপ, চওড়া করা যাচ্ছে না বারাকপুরের ঘোষপাড়া রোড
    বর্তমান | ১৮ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ‘লাইফ লাইন’ বলে পরিচিত ঘোষপাড়া রোডের পুরনো ম্যাপ পাওয়া যায়নি। তাই ওই রাস্তার সম্প্রসারণ হচ্ছে না। কারণ প্রকৃতপক্ষে রাস্তাটি কতটা চওড়া, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই সম্প্রসারণ না করেও রাস্তাটির ‘সশক্তিকরণের’ কাজ শুরু করল পূর্তদপ্তর। এজন্য ১৩ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। বারাকপুর স্টেশন থেকে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বর্তমানে দশ কিলোমিটার রাস্তার ‘সশক্তিকরণ’ করা হচ্ছে।

    গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন রকমের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করায় রাস্তাটি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অথচ এই রাস্তার উপরে পলতা বায়ু সেনার ঘাঁটি, ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি, শ্যামনগর কালীবাড়ি, কাকিনাড়া বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রয়েছে একাধিক স্কুল, কলেজ, পুরসভা এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান। রোজ হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে সকাল এবং বিকেলবেলা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই এই রাস্তাটি চওড়া করার জন্য স্থানীয় বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ের কাছে আবেদন করেছেন।

    পূর্তমন্ত্রীর নির্দেশে এই রাস্তাটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয় পূর্তদপ্তর। কিন্তু পুরনো ম্যাপ না মেলায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। জেলাশাসক শরৎ দ্বিবেদীকে চিঠি দেয় পূর্তদপ্তর। ইতিমধ্যে ভূমিদপ্তরকে রাস্তার মাপ বুঝিয়ে দিতে বলেছে পূর্তদপ্তর। ওই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে কোথাও রাস্তাটি চওড়া ৭ মিটার, কোথাও সাড়ে পাঁচ মিটার। অনেক জায়গাতেই দখলদার রয়েছে। রাস্তার পরিমাপ কত, জানা যায়নি। তবে সকলের দাবি মেনে রাস্তাটি সশক্তিকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১০ কিলোমিটার রাস্তার কাজের টেন্ডার করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার শেষে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। ফলে ঘোষপাড়া রোড নতুন চেহারা পাবে। ভবিষ্যতে সম্প্রসারণের কাজ করা হলে, রাস্তাটির মাঝখানে ডিভাইডার বসানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)