• প্রশাসনিক তৎপরতায় অপ্রাপ্তবয়স্ক নবদম্পতির অবশেষে ঠাঁই হল হোমে
    বর্তমান | ১৮ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: নববধূর বয়স সবে ১৫ পেরিয়েছে। আর স্বামীর বয়স ১৭। তারা পালিয়ে গিয়ে চুপিসারে বিয়েও করেছিল। কিন্তু ফুলশয্যার পরের দিনেই সেই বাড়িতে হানা দিল পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। নবদম্পতি দু’জনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের পাঠানো হয়েছে হোমে। ঘটনাটি বারাসত ২ ব্লকের কীর্তিপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকার।

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত ২ নম্বর ব্লকের কীর্তিপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা অপর্ণা মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাপন মণ্ডলের (দু’জনেরই নাম পরিবর্তিত)। অপর্ণার এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই দু’জনে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে। সেই মতো গত শুক্রবার তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেরে রবিবার। ওইদিন বাড়িতে নিয়ম মেনে আচার অনুষ্ঠানও করা হয়।

    এদিকে, গোপন সূত্রে দুই অপ্রাপ্তবয়স্কের বিয়ের খবর জানতে পারে ব্লক প্রশাসন। সোমবার বিকেলে নবদম্পতির বাড়িতে থানা দেয় শাসন থানার পুলিস ও বারাসত ২ ব্লকের সিডিপিও সহ অন্যরা। দু’জনকেই ডেকে পাঠানো হয় বাড়ির সামনে। তারা প্রথমে বিয়ে করার কথা মিথ্যা বলে দাবি করে। তারপর চাপে বিয়ের কথা স্বীকার করে নেয়। তখন কড়া ভাষায় তাদের ধমক দেন পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।

    ঘটনাস্থল থেকেই নাবালিকা বধূকে উদ্ধার করে হোমে পাঠানো হয়। এছাড়া ওই কিশোর স্বামীকেও হোমে পাঠিয়েছে পুলিস। এ নিয়ে বারাসত ২০-এর সিডিপিও রাজশেখর পান্ডা বলেন, প্রথমে ওরা বিয়ের কথা অস্বীকার করেছিল। যদিও পরে মেনে নেয়। কেউ যদি ভাবে গোপনে সরকারি নিয়মকে অবজ্ঞা করে বিয়ে করবে, তাহলে তাদের ছাড়া হবে না। অবশ্যই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় অভিযোগও দায়ের করেছি।
  • Link to this news (বর্তমান)