পোস্ট অফিসের স্কিমের নাম করে উধাও ১৫ লক্ষ, ১৩ বছর পর জানতে পারলেন গ্রাহক
বর্তমান | ১৮ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ১৩ বছর আগে তিনবার এবং ১১ বছর আগে আরও তিনবার। পরিচিত এক এজেন্টের মাধ্যমে মোট ছ’দফায় ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সল্টলেকের এক বাসিন্দা। পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে তিনি ওই টাকা রাখতে বলেছিলেন। ওই এজেন্ট তাঁকে বিনিয়োগের করা অর্থের সার্টিফিকেটও দিয়েছিলেন। কিন্তু, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২৫ সালে সেই টাকা তুলতে গিয়ে তিনি জানতে পারলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক যুগ আগেই। এজেন্ট তাঁকে যে সার্টিফিকেট দিয়েছিল, তা ভুয়ো। সোমবার সল্টলেকের ওই ব্যক্তি বিধাননগর উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত ব্যক্তি সল্টলেকের সি এ ব্লকে থাকেন। এফ ডি ব্লকের এক এজেন্টের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে ২০১২ সালে তিনি পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। এজেন্টের মাধ্যমে তিনি ওই বছর তিন ভাগে মোট ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। দু’বছর বাদে ২০১৪ সালে তিনি ফের এজেন্টের মাধ্যমে তিন ভাগে ৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। ১৩ বছরে এই টাকা দ্বিগুণের কাছাকাছি হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ শেষের পর সল্টলেকের ওই ব্যক্তি এজেন্টকে ফোন করেন। কিন্তু, তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
শেষমেশ ওই ব্যক্তি বিনিয়োগের শংসাপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিসে যান। অফিসের আধিকারিকরা তা দেখে বলেন, সমস্ত শংসাপত্রই ভুয়ো। তাঁর নামে কোনও সার্টিফিকেট কেনা হয়নি। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তির। তিনি বাড়িতে ফিরেই অভিযুক্ত এজেন্টের নামে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত আদৌ পোস্ট অফিসের এজেন্ট, নাকি মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিসের বক্তব্য, কোনও ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নাগরিকদের আরও সতর্ক হতে হবে।