• খড়্গপুর: ৩৫টি ওয়ার্ডের নিকাশি সংস্কারে পুরসভার বরাদ্দ দেড় কোটি টাকা
    বর্তমান | ১৮ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: বর্ষায় শহরে নিকাশি ব্যবস্থা সচল রাখতে ৩৫টি ওয়ার্ডকে প্রায় দেড় কোটি  টাকা বরাদ্দ করল খড়্গপুর পুরসভা। এই টাকায় নর্দমা, কালভার্ট ও স্থায়ী ডাস্টবিন তৈরি হবে। পুরসভার চেয়ারপার্সন কল্যাণী ঘোষ বলেন, সোমবার পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এই টাকা বরাদ্দ করা হয়। তিনি বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে টায়েড ফান্ড থেকে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে এই টাকা পাওয়া যায়। তার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ৩৫টি ওয়ার্ডকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটিগরির ২২টি ওয়ার্ডকে পাঁচ লক্ষ করে। ‘বি’ ক্যাটিগরির চারটি ওয়ার্ডকে চার লক্ষ  করে এবং ‘সি’ ক্যাটিগরির আইআইটি ও রেল এলাকার ন’টি ওয়ার্ডকে তিন লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলারদের দ্রুত পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নর্দমা থেকে পলি পরিষ্কার করার জন্য আজ বুধবার পুরসভার বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন কমিটিও গঠন করা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত মার্চ মাসে ওয়ার্ডগুলিকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেখানেও নর্দমা তৈরি সহ নানা কাজ করার কথা বলা হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই টাকার অনেক কাজ যেমন এখনও শেষ হয়নি। তেমনই অনেক কাজ শুরুই হয়নি। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৈমুর আলি খান বলেন, একাধিক কাউন্সিলার এখনও মার্চ মাসের কাজের পরিকল্পনা জমা দেননি। 

    এদিকে রেল এলাকার ওয়ার্ডগুলিতে আর পুরসভার জেসিবি দেওয়া হবে না বলে চেয়ারপার্সন সোমবারের বোর্ড মিটিংয়ে জানিয়ে দেন। এনিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কিছুদিন আগে রেল এলাকার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের নেতৃত্বে বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার রোহন দাস রেলের বন্ধ রাস্তা খুলে দেন। অভিযোগ, সেই কর্মসূচিতে পুরসভার জেসিবি ব্যবহার করা হয়েছিল। পুরসভা সূত্রে খবর, এনিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ পুরসভার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছে। ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে পুরসভাকে। 

    চেয়ারপার্সন বলেন, সেদিন এলাকায় জঞ্জাল পরিষ্কার করা হবে বলে জেসিবি নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পুরসভাকে না জানিয়ে তা অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, তাই এবার থেকে আর রেল এলাকায় জেসিবি দেওয়া হবে না। রোহন দাস বলেন, রেল সেখানে রাস্তা বন্ধ করে রাখায় মানুষের সমস্যা হচ্ছিল। রাস্তার ওপর পড়ে থাকা সেই সব অব্যবহার্য জিনিস আমরা সরিয়ে দিয়ে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছি। পুরসভা রেল এলাকায় জেসিবি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলতে পারে না। রেল এলাকার বিজেপি কাউন্সিলার অনুশ্রী বেহেরা অবশ্য চেয়ারপার্সনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তবে তিনি বলেন, একজন কাউন্সিলারের জন্য অন্য কাউন্সিলাররা কেন বঞ্চিত হবেন। রেল এলাকায় ম্যান পাওয়ার কম বলেই তো জেসিবি লাগে।  
  • Link to this news (বর্তমান)