• সংস্কার হয়নি ডোমকলের পাড়দিয়ার ভাঙা কালভার্ট, বাঁশের সাঁকোতেই ঝুঁকির পারাপার
    বর্তমান | ১৮ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ডোমকল: বর্ষায় জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল কালভার্ট। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলের দু’পারের কয়েক হাজার বাসিন্দা। অস্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য ভাঙা কালভার্টের উপরে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছিল পঞ্চায়েত। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েক মাস। এখনও ডোমকলের গরিবপুর পঞ্চায়েতের পাড়দিয়ার এলাকার ওই ভাঙা অংশে হয়নি কংক্রিটের কালভার্ট। ফলে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর মধ্যে দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাফেরা করতে হয় স্থানীয়দের। প্রশাসনের তেমন হেলদোল নেই। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁরা দ্রুত কালভার্টটির সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডোমকলের গরিবপুর পঞ্চায়েতের পাড়দিয়াড় এলাকায় একটি পুকুর পাড়ে ছিল ওই কালভার্টটি। স্থানীয়দের দাবি, ভারী বর্ষায় জলের তোড়ে রাতারাতি ভেঙে পড়েছিল কালভার্টটি। দিন কয়েকের মধ্যেই ওই ভাঙা অংশে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে বাঁশের কালভার্ট তৈরি করেছিল পঞ্চায়েত। তারপর বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। বাঁশের কালভার্ট নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। মানুষ উঠলেই দুলে ওঠে কালভার্টটি। অথচ বিপদ জেনেও ওই কালভার্টের উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই কালভার্ট দিয়ে পাড়দিয়াড়, জিতপুর, গরিবপুর, গঙ্গাধারী এলাকার কয়েক হাজার লোক নির্ভর করেন। এটি ছাড়া তেমন বিকল্প রাস্তাও নেই। সরু নড়বড়ে বাঁশের কালভার্ট দিয়ে যেতে গিয়ে নিত্যদিন সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। যে কোনও সময় কালভার্ট ভেঙে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা নাসির শেখ বলেন, বর্ষার সময় জলের তোড়ে কালভার্ট ভেঙে গিয়েছিল। এরপরে পঞ্চায়েত থেকে বাঁশের কালভার্ট করে দিয়েছিল। ওই শেষ। এখনও নতুন করে আর কালভার্ট নির্মাণ করা হল না। এই বয়সে নড়বড়ে বাঁশের কালভার্ট পেরতে গিয়ে ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। জিতপুর পাল প্রতিষ্ঠানের সুরাইয়া পারভিন, মৌসুমি বিশ্বাস বলে, সাইকেল নিয়ে ওই কালভার্ট পর করে স্কুল যেতে ভীষণ ভয় করে। কালভার্ট দুলে ওঠে। এভাবে প্রতিদিন সমস্যায় পড়তে হয়। আমরা চাই দ্রুত সেখানে পাকা কালভার্ট তৈরি করা হোক। গরিবপুর পঞ্চায়েত প্রধান সুচিত্রা খাতুন বলেন, আগের কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা তড়িঘড়ি প্রায় ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে ওখানে বাঁশের সাঁকো তথা কালভার্ট তৈরি করেছিলাম। তবে কংক্রিটের কালভার্ট তৈরির মতো বড় ফান্ড আমাদের কাছে নেই। আমরা বিষয়টি বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতিতে জানিয়েছি। ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহানা বিশ্বাস বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির তরফে ওই এলাকায় নতুন কালভার্ট তৈরির জন্য স্কিম জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)