শান্তিপুরে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পানীয় জল পরিশোধন কেন্দ্র তৈরির আর্জি বিধায়কের
বর্তমান | ১৮ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের নিজস্ব প্যাকেজ ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের ট্রিটমেন্ট প্লান্ট শান্তিপুরে তৈরির চেষ্টা চলছে। যা বাস্তবায়িত হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। বাংলার ডেয়ারির জল পরিশোধন কেন্দ্র তৈরির জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত জমিও। মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছে এমন আর্জি জানালেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। যা প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে বিবেচনার জন্য গ্রহণ করেছেন মন্ত্রী।
বিধানচন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বে শান্তিপুর বিধানসভা এলাকার মতিগঞ্জে তৈরি হয়েছিল একটি পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র। দীর্ঘদিন সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বেহাল পড়ে থাকার পর বছরখানেক আগে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর বিধায়ক তহবিলের ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে সেটির সংস্কার হয়। যদিও চিকিৎসালয় সংলগ্ন বিস্তীর্ণ জমি খালি পড়ে রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় এক বিঘের বেশি আয়তনের জমিটি শান্তিপুর তথা নদীয়াবাসীর কর্মসংস্থানের জন্য ব্যবহার কার দাবি তুলেছেন বিধায়ক। মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ওই জমিতে বাংলার ডায়েরির নিজস্ব প্যাকেজ ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির আবেদন জানিয়েছেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের নিজস্ব পানীয় জল রয়েছে। কিন্তু তা কেবল সরকারি ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। এছাড়া হরিণঘাটার আধা সরকারি প্যাকেজ ড্রিঙ্কিং ওয়াটার রয়েছে। যা বর্তমানে বাজারে ভালোই চলছে। এছাড়াও বাম আমলে ধুঁকতে থাকা মাদার ডেয়ারি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পুনর্জীবিত হয়েছে। বাংলার ডেয়ারি ব্র্যান্ডিংয়ে আজ দুধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্য তৈরি করছে। রয়েছে আইসক্রিম। এমনকী তাদের নিজস্ব বোতলবন্দি পানীয় জল রয়েছে। সেই জল তৈরির পরিশোধন কেন্দ্র শান্তিপুরে তৈরির জন্য আমি আবেদন জানিয়েছি। এক বিঘে জমি খালি রয়েছে এই কাজের জন্য। ভৌগোলিকভাবে শান্তিপুরের এই জায়গা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পাশ দিয়ে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে উত্তরবঙ্গ পৌঁছে যাওয়া যায়। আবার গঙ্গার উল্টোদিকে রয়েছে হুগলি এবং বর্ধমান জেলা। ফলে এখানে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হলে একদিকে যেমন রাজ্যজুড়ে সরবরাহ করা সুবিধা হবে, তেমনই শান্তিপুর তথা নদীয়ার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।
সূত্রের খবর, প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়কের আর্জি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করেছেন মন্ত্রী। ফলে আগামীদিনে শান্তিপুরে সরকারি উদ্যোগে নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, এইদিনেই চুঁচুড়ায় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির অনুমোদন মিলেছে। ফলে প্রতিবেশী হুগলি জেলার পাশাপাশি আশার আলো দেখছে নদীয়ার মানুষও। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, এদিন বিধানসভায় বিধায়ক একটি আবেদন আমার কাছে করেছেন। সেই আবেদন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।