• ছোটদের ঝামেলা ঘিরে রক্তারক্তি কালিয়াচকে, সংঘর্ষে জড়াল বড়রা
    বর্তমান | ১৮ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালিয়াচক: ছোটদের ঝামেলা মোড় নিল বড়দের সংঘর্ষে। যার জেরে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হল এক ব্যক্তিকে। গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কালিয়াচকের বীরনগর নাসিরটোলা গ্রামে এনিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, রফিকুল শেখের ছেলে গোলাম স্থানীয় বাসিন্দা সুলতানের ছেলে ওয়াসিম  ও কাবিলের ছেলে নজরুল খেলছিল। এমন সময় দুই শিশুর মধ্যে খেলতে খেলতে কোন‌ও কারণে ঝামেলা বাধে। ছোটরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু করে। ঘটনা জানতে পেরে দু’পক্ষ‌ই ছুটে আসে। এরপর অভিভাবকরা কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তখনকার মতো  বিষয়টি মিটমাট করে দেন। সোমবার রাত আনুমানিক এগারোটা নাগাদ রফিকুলের ভাই শামীম শেখ তাঁর বন্ধু শহিদুল শেখকে নিয়ে রাস্তার পাশে বসেছিলেন। অভিযোগ, এমন সময় সুলতান সাইকেল নিয়ে এসে তাঁদের গালিগালাজ শুরু করেন। দুই বন্ধু প্রতিবাদ করেন। এরমধ্যে ফের সুলতান তাঁর ভাই কাবিলকে ফোন করে ডাকেন। দাদার ফোনে ছুটে আসেন কাবিল। ফের সুলতানদের সঙ্গে শামীমদের গণ্ডগোল বেধে যায়। ‌সুলতান ও তাঁর ভাই কাবিল শহিদুল ও শামীমের উপর চড়াও হন। সেখানে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে রফিকুল সেখানে গেলে তাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। রফিকুলের ভাই শামীম বলেছেন, আমাদের মারধর করছিল সুলতান ও তার ভাইরা। তারা হাঁসুয়া-লাঠি নিয়ে এসেছিল। কাবিলের হাতে লোহার রড ছিল। রড দিয়ে সে আমার হাতে আঘাত করে। আমাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে দাদা রফিকুল সেখানে আসতেই রড ও হাঁসুয়া নিয়ে চড়াও হয় সুলতানদের তিনভাই। দাদার মাথায় হাঁসুয়ার কোপ মারে। হাতের ওপরেও কোপ মারা হয়েছিল। তখনই রক্তাক্ত অবস্থায় দাদা অচৈতন্য হয়ে যায়। স্থানীয়রা ছুটে এলে রফিকুল পালিয়ে যায়। খুব খারাপ অবস্থা ছিল দাদার। স্থানীয়দের সহায়তায় রক্তাক্ত অবস্থায় দাদাকে সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু দাদার মাথা থেকে রক্তপাত বন্ধ হয়নি। তাই মালদহ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই আমরা ছ’জনের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

    যদিও ঘটনা অস্বীকার করেছেন সুলতানের ভাই কাবিল। তাঁর কথায়, নিজেরাই দলবল নিয়ে আমাদের মারধর করেছে, অথচ এখন মিথ্যে অভিযোগ করছে। আমরা কাউকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাইনি। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরাও পুলিসে লিখিতভাবে বিষয়টি জানাব।

    স্থানীয় বাসিন্দা রহমত শেখ বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে মাঝেমধ্যেই গণ্ডগোল হতো। ফের ছোটদের  মধ্যে গণ্ডগোল নিজেরা মাথায় নিয়েছে, এটা উচিত হয়নি। এছাড়াও রফিকুলকে খুব মারধর করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক।  পুলিস জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)