সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: সম্প্রতি কুশমণ্ডি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে বেশকিছু জমি সংক্রান্ত কাজকর্ম, মিউটেশন ও রেকর্ড নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিষয়গুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দারা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এনিয়ে কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরব হয়েছেন। তিনি গোটা বিষয় নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তর জানিয়েছে, কিছু বিষয় প্রাথমিক ভাবে ধরা না পড়ায় ভুল হয়েছে। সেগুলি ঠিক করা হচ্ছে।
দপ্তর সূত্রে খবর, কুশমণ্ডির এক বাসিন্দা কয়েক মাস আগে নিজের নামের দলিল এনে রেকর্ড করাতে আবেদন জানান। সেই জমির রেকর্ড তাঁর নামে হয়ে যায়। পরে তৃতীয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তর দেখে জাল দলিল পেশ করে ওই জমি রেকর্ড করা হয়েছে। ১৫ দিন আগে জমির আসল মালিক মিজানুর রহমানের নামেই রেকর্ড বহাল থাকে। এছাড়াও সম্প্রতি করিমুল ইসলাম তাঁর ছেলেকে ১৫ শতক জমি দানপত্র করে রেকর্ড করেন।
দপ্তরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে দেখা যায় করিমুলের বাবা সেই জায়গা অনেক আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই জায়গা পুনরায় আসল মালিকের নামে রেকর্ড করে দপ্তর। ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তরের এক অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। অভিযোগকারী করিমুল বলেন, আমি ছেলের নামে ১৫ শতক জায়গা দানপত্র করি। সেই জমি রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে সেই জমি অন্য ব্যক্তির নামে রেকর্ড করেছে দপ্তর। ওই জমি বাবা বিক্রিই করেননি। জমি ফিরে পেতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম প্রথমে ভূমি সংস্কার দপ্তরে ঘুঘুর বাসা রয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তিনি বলেন, কুশমণ্ডি ভূমি সংস্কার দপ্তরে সকাল-বিকেল জমির রেকর্ড বদল হয়ে যাচ্ছে। মোটা টাকার বিনিময়ে একদল অসৎ ব্যক্তির সাহায্যে এই চক্র চলছে। দপ্তরে গিয়ে এসব বন্ধ করতে বললেও কর্ণপাত করেনি। জনপ্রতিনিধি হওয়ায় মিউটেশন ও রেকর্ড সংক্রান্ত একগুচ্ছ অভিযোগ পেয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি।
কুশমণ্ডি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অভিজিৎ পাল বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী কাজ করি। কিছু কেস আমাদের চোখেও ধরা না পড়ায় ভুল হয়েছিল। সে বিষয় সামনে আসতেই প্রকৃত জমির মালিক তাঁর অংশ বুঝে পেয়েছেন। কর্মাধ্যক্ষ রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছেন।